আজকাল ওয়েবডেস্ক: নতুন বছর ২০২৬ প্রায় এসে গিয়েছে! বছরের প্রথম দিনটিকে বিশেষ করে তুলতে চাইলে ভ্রমণই হতে পারে সেরা উপায়। সমুদ্রতটে রাতভর পার্টি, তুষারঢাকা পাহাড়ে নিরিবিলি অবকাশ, রাজকীয় হোটেলে বিলাসবহুল ডিনার কিংবা আধ্যাত্মিক শান্তির খোঁজ—ভারতের নানা প্রান্তে রয়েছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অসংখ্য রকমের অভিজ্ঞতা। আনন্দ, প্রকৃতি ও প্রশান্তির নিখুঁত মিশেলে নতুন বছর শুরু করতে এই সাতটি ভারতীয় গন্তব্য হতে পারে আদর্শ পছন্দ।
নতুন বছরের পার্টি লিস্টে বরাবরের মতোই শীর্ষে রয়েছে গোয়া। বাগা ও কালাঙ্গুটের ক্লাব পার্টি, আনজুনার ট্রান্স মিউজিক, ইডিএম নাইট, আতশবাজি আর সূর্যোদয় পর্যন্ত চলা উদযাপন গোয়াকে করে তোলে পার্টিপ্রেমীদের স্বর্গ। আবার চাইলে দক্ষিণ গোয়ার শান্ত সৈকতে লাইভ মিউজিক ও বিচ শ্যাকে নিরিবিলি ডিনারেরও ব্যবস্থা রয়েছে।
তুষারময় পরিবেশে নতুন বছর শুরু করতে মানালি ও কাসোল আদর্শ। মানালিতে বিলাসবহুল রিসর্টে গালা ডিনার ও নিউ ইয়ার নাইট পার্টি হয়, আর কাসোলের পরিবেশ তুলনামূলক শান্ত—নদীর ধারে ক্যাফে, বনফায়ার আর হিপ্পি সংস্কৃতির ছোঁয়া। বরফে ঢাকা পাহাড়, পাইন বন আর তারাভরা আকাশ নতুন বছরের শুরুটাকে করে তোলে স্বপ্নময়।
রাজকীয় আমেজে নতুন বছর উদযাপন করতে চাইলে উদয়পুরের জুড়ি মেলা ভার। লেক পিচোলার ধারে বিলাসবহুল হোটেলগুলিতে থাকে ডিনার, লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান ও আতশবাজির ঝলক। ঐতিহ্য ও আভিজাত্যের মেলবন্ধনে এটি দম্পতিদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়।
পার্টির বদলে শান্তি ও আত্মসমীক্ষা চাইলে ঋষিকেশ হতে পারে সেরা গন্তব্য। যোগ ও ধ্যান শিবির, গঙ্গা আরতি কিংবা নদীর ধারে ক্যাম্পিং—সব মিলিয়ে এক আধ্যাত্মিক নতুন বছরের অভিজ্ঞতা। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা রাফটিং ও ট্রেকিংয়ের স্বাদও নিতে পারেন।
গুজরাটের রান অব কচ্ছের সাদা মরুভূমিতে নতুন বছর মানেই এক অনন্য অভিজ্ঞতা। রান উৎসবের সময় লোকসংগীত, নৃত্য, হস্তশিল্প আর টেন্ট সিটিতে থাকার সুযোগ মেলে। চাঁদের আলোয় বিস্তৃত লবণভূমি এই উদযাপনকে করে তোলে স্মরণীয়।
কর্ণাটকের কুর্গের কুয়াশাঘেরা পাহাড় ও কফি বাগান নতুন বছরের জন্য শান্ত এক আশ্রয়। বনফায়ার, স্থানীয় খাবার, জলপ্রপাত ও প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটানো সময় মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।
সবশেষে, ভিড় এড়িয়ে সমুদ্রসৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আন্দামানের হ্যাভলক ও নীল দ্বীপ আদর্শ। সাগরতটে ডিনার, সূর্যাস্ত আর স্কুবা ডাইভিংয়ের সঙ্গে নতুন বছর শুরু মানেই এক সতেজ সূচনা।
