আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্রমবর্ধমান নগরায়ন ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জমির ব্যবহার বন্যপ্রাণ ও বাস্তুতন্ত্রের ওপর বিপর্যয় ডেকে আনছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ জানায়, “বন্যপ্রাণের অস্তিত্ব আজ বাস্তব সংকটের মুখে, কাল্পনিক নয়।”
তবে আদালত স্পষ্ট করে দেয়, কোনও অভিযুক্তের জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করা যাবে না, যতক্ষণ না তাদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। বেঞ্চ জানায়, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে দোষী সাব্যস্তদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
এই পর্যবেক্ষণ আসে বাঘের চামড়া ও অন্যান্য বন্যপ্রাণ দ্রব্যের বেআইনি বাণিজ্যে দোষী দুই ব্যক্তির আপিলের শুনানিতে। বোম্বে হাই কোর্ট তাদের সাজা বহাল রেখেছিল।
সুপ্রিম কোর্ট তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)-র গাফিলতিরও কড়া সমালোচনা করে বলে, তদন্ত ছিল “অস্পষ্ট” ও “অবিচার্য।” আদালতের মতে, “CBI ধৈর্য হারিয়ে চূড়ান্ত লেনদেনের আগেই অভিযুক্তদের আটক করে।”
সুপ্রিম কোর্ট শেষ পর্যন্ত তাদের দোষ স্বীকার করে তিন বছরের সাধারণ কারাদণ্ড ও ২৫,০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করে, যা আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে।
