অরিন্দম মুখার্জি : জামশেদপুর সোনারি বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার প্রশিক্ষণের যে বিমানটি হারিয়ে গিয়েছিল অবশেষে তাঁর আরেক পাইলটের খোঁজ মিলল। অ্যালকেমিস্ট অ্যাডমিশন প্রাইভেট লিমিটেডের এই বিমানটির কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে বৃহস্পতিবার পাওয়া গেল বিমানটির ঠিকানা। নৌবাহিনীর দল আসার পর থেকে তারা চান্ডিল জলাধারে উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে।
বৃহস্পতিবারই শিক্ষার্থী পাইলট শুভ্রদীপ দত্তের দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে নৌবাহিনীর দল চান্ডিল জলাধারের জলের নিচে নেমে খোঁজ করতে থাকে। আরেক পাইলট ক্যাপ্টেন জিৎ শত্রু-র দেহের তখনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রত্যক্ষদর্শী দুই গ্রামবাসী যারা চান্ডিল জলাধারে স্নান করতে নেমেছিল তারা গোটা বিষয়টি কিছুটা স্পষ্ট করেন। স্থানীয় গ্রামবাসী তপন মাঝি ও রুসা মাঝি দেখেন, একটি উড়োজাহাজ খুব গতিবেগে কিছুক্ষণ ঘুরতে ঘুরতে নিমডিয়া কয়লা গাড়ার দিকে চান্ডিল জলাধারের মধ্যে পড়ে এবং জলের মধ্যে বিরাট আন্দোলন হয়।
নৌবাহিনীর দল খুঁজতে গিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা যেখানে শিক্ষার্থী পাইলট শুভ্রদীপ দত্তের দেহ পাওয়া গিয়েছিল ঠিক সেখান থেকে কিছুটা আগেই পার্টনার পাইলট ক্যাপ্টেন জিৎ-র শত্রু দেহ উদ্ধার করে। ফলে নিঁখোজ হওয়া বিমানের দুই ব্যক্তিরই দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হল। সরাইকেলা আর খরসাওয়া জেলা প্রশাসন দুটি দেহকেই ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে তাঁদের বাড়িতেও। এবার ভারতীয় নৌসেনা জলের নিচে নেমে আলকেমিস্ট অ্যাডমিশন প্রাইভেট লিমিটেডের প্রশিক্ষণ বিমানটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছে।
