আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগরতলার উপকণ্ঠ মহেশখলায় টেকনো ইন্ডিয়ার নতুন ‘নলেজ ক্যাম্পাস’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।

শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মন, কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ সহ আরও অনেকে। উদ্বোধনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার শিক্ষার উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

ত্রিপুরায় উচ্চশিক্ষা বিস্তারে টেকনো ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। নলেজ ক্যাম্পাসের উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নতুন এই নলেজ ক্যাম্পাস একদিন পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে’।

উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মন জানান, সরকার ইতিমধ্যেই শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যার সুফল ছাত্রছাত্রীরা পাচ্ছেন। কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, ‘টেকনো ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠান রাজ্যের উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করেছে’।

টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরী এই ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে বলেন, ‘টেকনো ইন্ডিয়ার নলেজ ক্যাম্পাস আগামী দিনে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে’।

ত্রিপুরার সৌন্দর্য এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অরুণোদয় সাহা, টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি ত্রিপুরার উপাচার্য সত্যম রায়চৌধুরী, কো-চেয়ারপার্সন মানসী রায়চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মেঘদূত রায়চৌধুরী, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. শঙ্কু বোস, প্রো-ভিসি সুপ্রতিম সেন, সিওও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির সিওও তন্ময় রায়চৌধুরী, টেকনো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ দিবাকর দেব-সহ আরও অনেকে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন, রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত ভিআইপি লাউঞ্জ এবং রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন।

শুক্রবার বিকেলে ৩৩ কিলোভোল্ট বিদ্যুৎ সাবস্টেশন উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ দেন বিদ্যুৎ ও কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। অনুষ্ঠানে অনাথ শিশুদের সহায়তা করা হয়।

দিনভর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাদ্যমেলা এবং বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেন শান্তনু রায়চৌধুরী, কৃষ্ণকলি সাহা এবং ত্রিপুরার প্রথম মহিলা ব্যান্ড ‘মেঘবালিকা’।

ক্যাম্পাসে আলো জ্বালিয়ে দিনের অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই উদ্যোগ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন, উদ্ভাবনী চেতনা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতি টেকনো ইন্ডিয়ার অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করবে।