আজকাল ওয়েবডেস্ক: খবরের শিরোনামে আবারও বিহার। বিহারের বৈশালী জেলায় এক সাত বছর বয়সী শিশুকে খুন করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, হাজিপুরের গোপালপুর চৌকের কাছে একটি বেসরকারি ছাত্রাবাসের ঘরে ওই শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়তে চরম শোরগোল রাজ্যজুড়ে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) গোপাল মণ্ডল বলেছেন, "খুনের জায়গাটি (ক্রাইম সিন) ফরেনসিক দল পরীক্ষা করে দেখছে। আমরা হোস্টেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ছবিও যাচাই করছি।" এছাড়াও হোস্টেলে উপস্থিত সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ 

এ বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি আরও জানান, হোস্টেলটির নিয়ন্ত্রক এবং আরও চারজন, অর্থাৎ এই মোট পাঁচজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে। এই নৃশংস ঘটনার কথা জানতে পেরে এলাকার লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে হোস্টেলটিতে ভাঙচুর চালিয়েছেন। বিক্ষোভ করেছেন। মৃত শিশুর পরিবারের দাবি, তাঁর গলা কেটে খুন করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর ছেলেটির পরিবার যা বলবে, তার ওপর ভিত্তি করে পরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, গুজরাটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে৷ এক বন আধিকারিকের স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তানের দেহ রবিবার ভাবনগর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দশ দিন পর এই মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এল।

পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যাসিস্ট্যান্ট কনজারভেটর অফ ফরেস্টস (এসিএফ) শৈলেশ খাম্ভলা, গত ৬ নভেম্বর তাঁর স্ত্রী নয়না রাবারি (৪০), নয় বছরের ছেলে এবং ১৩ বছরের মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

ঘটনার জেরে, ভাবনগরের পুলিশ সুপার (এসপি) নিতেশ পাণ্ডে সাংবাদিকদের জানান, "আমরা খবর পাই যে, ৬ নভেম্বর নাগাদ খাম্ভলার সরকারি আবাসনের আশেপাশে কেউ যেন মাটি খুঁড়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ও ফরেন্সিক দল স্নিফার ডগ নিয়ে সকালে তল্লাশি চালায়। তখনই তিনটি দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার পরে দেহগুলি নয়না রাবারি এবং তাঁর দুই সন্তানের বলে শনাক্ত করেছে।"

এসপি আরও জানান, এই ঘটনায় বন আধিকারিক শৈলেশ খাম্ভলাকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসাবে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পরিবারটি থাকত সুরাটে। কিন্তু ছুটি কাটাতে তারা ভাবনগরে খাম্ভলার কাছে এসেছিল। পরে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।