আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কুডানকুলাম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হল। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক শক্তি সংস্থা রোসাটম ঘোষণা করেছে যে কুডানকুলাম প্রকল্পের ইউনিট–৩-এর রিঅ্যাক্টরের প্রাথমিক লোডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পূর্ণ পারমাণবিক জ্বালানি তারা সরবরাহ করেছে। এই জ্বালানি রাশিয়ার নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কনসেন্ট্রেটস প্ল্যান্টে তৈরি হয়েছে, যা রোসাটমের নিউক্লিয়ার ফুয়েল ডিভিশনের অন্তর্গত।


এই জ্বালানি সরবরাহ চুক্তির আওতায় ইউনিট–৩ এবং ইউনিট–৪-এর জন্য জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। তামিলনাড়ুর কুডানকুলামে অবস্থিত ভারত-রাশিয়া যৌথ এই প্রকল্পটি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।


কুডানকুলাম প্রকল্পে মোট ছ’টি রিঅ্যাক্টর রয়েছে। এর মধ্যে ইউনিট–১ ও ইউনিট–২ যথাক্রমে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং বর্তমানে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। ইউনিট–৩ এখন প্রি-কমিশনিং পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিটি রিঅ্যাক্টরের উৎপাদন ক্ষমতা ১,০০০ মেগাওয়াট। সবকটি ইউনিট পুরোপুরি চালু হলে কুডানকুলাম থেকে প্রায় ৬,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। বর্তমানে এই প্রকল্প থেকে ২,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে, যা ভারতের মোট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।


২০২২ সাল থেকে কুডানকুলামে পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর কাঠামো নতুন প্রজন্মের অ্যান্টি-ডেব্রিস ফিল্টার এবং বেশি ইউরেনিয়াম ধারণক্ষমতার কারণে এটি বেশি নির্ভরযোগ্য ও খরচ-সাশ্রয়ী। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এর ফলে রিঅ্যাক্টরের জ্বালানি চক্র ১২ মাস থেকে বেড়ে ১৮ মাসে উন্নীত হয়েছে। আগে প্রতি বছর রিফুয়েলিংয়ের জন্য রিঅ্যাক্টর বন্ধ করতে হত, এখন ১৮ মাসে একবারই তা প্রয়োজন হচ্ছে, ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময়ও বেড়েছে।

&t=2133s


ফলে সেখান থেকে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক যে আগামীদিনে বিশ্বের বাকি দেশের কাছে চাপ তৈরি করবে সেকথা বলাই যায়। অন্যদিকে এই দুই দেশের ওপর নজর রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা চাইছে ভারত-রাশিয়া যেন কাছে না আসতে পারে। তবে ভারত-রাশিয়ার নতুন দিগন্ত বিশ্বকে ফের অবাক করে দেবে একথাই মনে করছে রাজনীতির কারবারিরা।