আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধরাশায়ী হওয়ার প্রায় ২৪ ঘন্টা পর নীরবতা ভাঙলেন আরজেডি নেতৃত্ব। এক্স পোস্টে সংযত প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। ভোটের পরাজয়কে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্ষোভের অংশ হিসাবে তুলে ধরেছে তেজস্বী যাদবরা। এক্স পোস্টে লেখা হয়েছে, "জনসেবা একটি অবিরাম প্রক্রিয়া, একটি অন্তহীন যাত্রা। এতে উত্থান-পতন অনিবার্য। পরাজয়ে কোনও দুঃখ নেই, জয়ে কোনও অহঙ্কার নেই। রাষ্ট্রীয় জনতা দল দরিদ্রদের দল। এই দল দরিদ্রদের হয়েই আওয়াজ তুলবে।"
আসলে আরজেডি-র আসন সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ২০২০ সালে যা ছিল ৭৫, তা এবার ২৫-এ নেমে এসেছে। রাজ্যে তেজস্বীদের প্রধান 'বন্ধু' কংগ্রেস, গতবার ১৯টি আসন জিতেছিল। আর ২০২৫ সালের বিদানসভা ভোটে ৬১টি আসনে লড়ে মধ্যে মাত্র ছয়'টিতে জয়লাভ করেছে।
বিহারবাসী জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটে (এনডিএ) আস্থা রেখেছেন। তবে শাসক জোটের ক্ষমতার ভরকেন্দ্র বদলেছে। গত ৭৪ থেকে এবার বিজেপি ৮৯টি আসন জিতেছে। কমেছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। গতবার এই দল পেয়েছিল ৪৩টি আসন, এবার তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে ৮৫টি হয়েছে। তবে, এককভাবে এগিয়ে পদ্ম বাহিনী। দুই প্রধান জোট শরিক মিলে ১০১টি আসনে প্রায় ৮৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এলজেপি পেয়েছে ১৯টি আসন। ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় এনডিএ নির্ণায়ক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
বিরোধী জোটের জন্য একটি উজ্জ্বল দিক ছিল মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব, যিনি তাঁর দলের দুর্গ রাঘোপুর ধরে রেখেছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, তিনি বিজেপির সতীশ কুমারকে ১৪,৫৩২ ভোটে পরাজিত করেছেন।
বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, তাদের আরজেডি ২২.৭৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আসন বেশি পেলেও বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২০.৯০ শতাংশ ভোট। জেডি(ইউ) এর দখলে ১৮.৯২ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তেজস্বী যাদবের 'বন্ধু' রাহুল গান্ধী ফলাফলের গভীর পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছেন, 'এমন একটি নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করতে পারিনি যা প্রথম থেকেই ন্যায্য ছিল না।' এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'বিহারের লক্ষ লক্ষ ভোটার যারা মহাজোটের উপর আস্থা প্রকাশ করেছেন তাদের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিহারের এই ফলাফল সত্যিই আশ্চর্যজনক। আমরা এমন একটি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারিনি যা প্রথম থেকেই ন্যায্য ছিল না।'
