আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিতে বড় ধাক্কা খেল গুলাম নবী আজাদের দল ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ আজাদ পার্টি (ডিপিএপিএ)। বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জুগল কিশোর শর্মা ও আব্দুল মজিদ ওয়ানি আবার কংগ্রেসে ফিরে গেলেন। তারা শতাধিক সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন বলে পিটিআই জানিয়েছে। একই অনুষ্ঠানে প্রাক্তন বিধান পরিষদ সদস্য সুবাশ গুপ্ত ও ব্রিজ মোহন শর্মাও কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেন।

এই যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ১০৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে। কংগ্রেসে ফেরত আসা নেতাদের স্বাগত জানান অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জম্মু–কাশ্মীরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ নাসির হুসেন, জম্মু–কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি তারিক হামিদ কারা এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জি এ মীর।

জুগল কিশোর শর্মা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর বলেন, কংগ্রেসই একমাত্র দল যা সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষতার মূল্যবোধে বিশ্বাস করে এবং নেতাদের নিজস্ব মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়। তিনি বলেন, অন্য দল ভোট চাইছে ধর্মের নাম করে, অথচ ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয় এবং প্রত্যেকেরই নিজের ধর্ম বিশ্বাস করার স্বাধীনতা থাকা উচিত, আর সেই স্বাধীনতা কংগ্রেসে রয়েছে।

উল্লেখ্য, শর্মা ও ওয়ানি দু’জনেই ২০২২ সালে কংগ্রেস ছাড়েন এবং গুলাম নবী আজাদের নতুন দলে যোগ দেন। তবে গত এক বছরে ডিপিএপিএ–র বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা আবার কংগ্রেসে ফিরে গেছেন। এই ধারাবাহিক ভাঙনের জেরে গত বছর এপ্রিল মাসে আজাদ তাঁর দলের সমস্ত ইউনিট ভেঙে দেন।

গুলাম নবী আজাদ দীর্ঘদিন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের একজন ছিলেন। তিনি রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালে তিনি কংগ্রেস ছাড়ার পর ডিপিএপিএ গঠন করেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দল উল্লেখযোগ্য শক্তি ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, এবং এখন প্রায় সব পুরোনো নেতাই কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেছেন।

জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিতে এই ঘটনার ফলে কংগ্রেসের অবস্থান আরও শক্তিশালী হলো, আর আজাদের দল কার্যত প্রায় ভেঙে পড়ার মুখে দাঁড়াল।