আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েছিল। হঠাৎ দরজা দিয়ে কারা যেন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে ঘরের মধ্যে। আলতো করে চোখ খুলেই দেখে, বাবাকে একদল লোকজন মারধর করছে। বাবার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে তারা। আর সেই সময়েই ঘরের একপাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল মা। কোনও প্রতিবাদ করেনি। এক যুবকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিখুঁত বর্ণনা দিল তাঁর ন'বছরের সন্তান। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ৭ জুন, রাজস্থানের আলওয়ারের খেরলি গ্রামে। নাবালক জানিয়েছে, সেদিন ইচ্ছে করেই ঘরের খুলে রেখেছিল তার মা। ঘুমিয়ে পড়েছিলেন মান সিংহ যাতব নামের ওই ব্যক্তি। হঠাৎ করে একদল লোক বাবার ঘরে ঢুকে পড়ে। তারপর তাঁকে মারধর শুরু করে। মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে। সেই সময় ঘরের একপাশে দাঁড়িয়ে সবটাই চুপচাপ দেখছিল তার মা। বিছানা ছেড়ে বাবার কাছে এগিয়ে যায় নাবালক। ওই সময় এক পরিচিত ব্যক্তি নাবালককে মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দেয়। 

 

পুলিশকে নাবালক জানিয়েছে, ওই দলেই ছিল 'কাশী' কাকু। আগেও বহুবার ওই ব্যক্তি তাদের বাড়িতে এসেছিল। মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। সেই ব্যক্তিই মান সিংকে খুন করে। ৭ জুন ঘটনার পর সুনিতা জানিয়েছিল, শারীরিক অসুস্থতার জেরে মান সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাবালক পুলিশকে জানিয়ে দেয়, তার বাবাকে খুন করা হয়েছে। 

 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় একটি দোকান রয়েছে সুনিতার। পাশেই কচুরি বিক্রি করে কাশী নামের ওই ব্যক্তি। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিল দু'জনে। এর জেরেই মান সিংকে খুন করে তারা। দু'জনে মিলে চারজন ভাড়াটে খুনিকে কাজে লাগায়। দু'লক্ষ টাকা দিয়েছিল মান সিংকে খুনের জন্য। এখনও পর্যন্ত সুনিতা, কাশী সহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও তিনজনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।