আজকাল ওয়েবডেস্ক: দোকান, পেট্রোল পাম্পে লাগানো কিউআর কোডে স্ক্যান করলেই ক্রেতা, গ্রাহকদের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হচ্ছে। কিন্তু, তা বিক্রেতা বা পেট্রোল পাম্পের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে না। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে ঝামেলাও হচ্ছে। বিষয়টি সামনাসামনি হতেই ঘোর কাটে। কোন অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে টাকা সেটাই রহস্য। শেষমেষ রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ওই টাকা চলে যাচ্ছে প্রতারকদের কাছে! ভয়ঙ্কর প্রতারণা। শোরগোল পড়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোতে।

শহরের প্রায় আধ ডজন দোকানে ও পেট্রোল পাম্পে এমন প্রতারণায় তাজ্জব সকলে। আসলে দোকান ও বা পাম্পে লাগানো কিউআর কোড বদলে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকেরা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই বিষয়টি ধরা পড়েছে। একটি দোকানে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে, একদল প্রতারক দোকানে ক্রেতা সেজে এসে রাতারাতি অনলাইন পেমেন্ট স্ক্যানার পরিবর্তন করে দিচ্ছে। বিক্রেতাকে জিনিস দিতে বলার অজুহাতে এই কাজ করা হচ্ছে।

খাজুরাহোর পেট্রোল পাম্পের এক কর্মীর কথায়, গ্রাহক স্ক্যান করে টাকা ট্রান্সফার করেছেন, কিন্তু সেই টাকা ব্যবসার অ্যাকাউন্টে পড়ছে না। স্ক্যানারটি পরীক্ষা করতেই দেখা যায় ছোটু তিওয়ারির নামে একটি অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকছে। এরপরই পাম্প কর্তৃপক্ষ ওই স্ক্যানারটি সরিয়ে দেয়।

শুধু খাজুরাহোতে নয়, মধ্যপ্রদেশের আরও শহরেও একই কাণ্ড ঘটে চলেছে। খাজুরাহো থানার ইনচার্জ অতুল দীক্ষিত জানিয়েছেন যে, প্রতারণার ঘটনা পুলিশের নজরে এসেছে। কিন্তু কোনও ব্যবসায়ী কোনও অভিযোগ এখনও দায়ের করেননি। এই বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রতারকরা সীঘ্রই ধরা পড়বে বলে দাবি তাঁর।