আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তর প্রদেশের উন্নাও জেলায় এক গৃহশিক্ষকের কাণ্ডে হতভম্ব এলাকা। দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে সেই ছাত্রীর মাকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন গৃহশিক্ষক আলামিন খান। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সাফিপুর ব্লকের ধানিপুর গ্রামে। চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তাদের কোনো খোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
জানা গেছে, ধানিপুর গ্রামের বাসিন্দা রমেশ রাইয়ের ছোট মেয়ে প্রিয়া রাইয়ের গৃহশিক্ষক ছিলেন আলামিন খান। তিনি ছিলেন একই ব্লকের নওগাঁ এলাকার বাসিন্দা। নিয়মিত প্রাইভেট পড়াতে যেতেন রমেশের বাড়িতে। এ সুযোগেই রমেশের স্ত্রী সরিতা দেবীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। ভুক্তভোগী রমেশ রাই বলেন, “আমি দিনমজুর মানুষ। মেয়েকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য বিশ্বাস করে শিক্ষক রেখেছিলাম। এখন সেই শিক্ষকই আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। থানায় অভিযোগ করেছি, কিন্তু এখনো কেউ কোনো খোঁজ দিতে পারছে না।”
ঘটনার বিষয়ে সাফিপুর থানার ওসি অজয় কুমার যাদব বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক ও মহিলাকে খুঁজে বের করার জন্য দল মাঠে নেমেছে।” স্থানীয়রা বলছেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে এখনকার সমাজে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে গেছে। গৃহশিক্ষক আর শিক্ষার্থী পরিবার—এই বিশ্বাসভিত্তিক সম্পর্কেও এবার চিড় ধরেছে প্রেমের মোহে। এখন প্রশ্ন—এটা কি দুজনের সম্মতিতে প্রেমের পালানো, না কি প্রতারণা? পুলিশের তদন্তের দিকে তাকিয়ে পুরো ধানিপুর।
