আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত প্রায় পাঁচ বছরে যা হয়নি, বুধবার হল তাই। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। গালওয়ান সংঘর্ষের পর মুখোমুখি, বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আর তাঁদের বৈঠকের দিকে কার্যত তাকিয়ে ছিল গোটা দুনিয়া। 

কী হল সেই বৈঠকে? কোন প্রসঙ্গে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে বসা বৈঠকে আলোচনা করলেন দুই রাষ্ট্রনেতা? বরফ কি তবে গলল? প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদি বললেন, আলোচনা হয়েছে সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় নিয়ে। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই। জানা গিয়েছে, বুধবারের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভারত-চিন সম্পর্কের গুরুত্বের কথা যেমন তুলে ধরেছেন, তেমনই গুরুত্ব দিয়েছেন সীমান্ত প্রসঙ্গে। মঙ্গলবারই চর্চা শুরু হয়েছে লাদাখ সীমান্তে অচলাবস্থা কাটা নিয়ে। বুধবার বৈঠকের পর জানা গেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী চিনের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন পূর্ব লাদাখ সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি দুই দেশের জন্যই কাম্য নয়। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে টহলদারি সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।

মোদি বলেন, সীমান্তে শান্তি বজায় যেমন দুই পক্ষের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, তেমনই পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং সংবেদনশীলতা সম্পর্কের ভিত হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, ভারত চিন সম্পর্ক কেবল দুই দেশের নাগরিকদের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের শান্তি স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির জন্য অন্ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই সীমান্তে শান্তির বিষয়ে একমত হয়েছেন।

 

 উল্লেখ্য, রাশিয়ার কাজানে, ব্রিকস সম্মেলনে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।