আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হানার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দেহভাজন এক জঙ্গির প্রথম ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে তাদের প্রতিবেদনে সেই ছবি প্রকাশ করেছে।
পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে হামলাস্থলের ভিডিও থেকে নেওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সন্দেহভাজন জঙ্গি একজন ব্যক্তি। পরনে কুর্তা, হাতে ধরে রয়েছেন একটি একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দৃঢ় বিশ্বাস, এই ব্যক্তিই পহেলগাঁও জঙ্গি হানারা সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের একজন।
মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পহেলগাঁও শহরের কাছে একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থানে জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে কমপক্ষে ২৬ জনকে হত্যা করেছে। যাদের বেশিরভাগই অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা পর্যটক। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর থেকে এই হামলাটি উপত্যকায় সবচেয়ে মারাত্মক। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছিলেন।
পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার স্থানীয় শাখা, দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর হামলার দায় স্বীকার করেছে। ভারতীয় সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে জঙ্গিদের খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে।
টিআরএফের উত্থান হয় ২০১৯ সালে। তখন সবে সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’র অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ।
হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৌদি আরবের দুই দিনের সফর কাটছাঁট করেছেন। বুধবার রাতে তাঁর ফেরার কথা থাকলেও, মঙ্গলবার রাতেই তিনি নয়াদিল্লিতে ফিরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য বিমানবন্দরেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সহ বিশ্বনেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ভারতের প্রতি তাদের সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
