আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে বুধবার ভোট পড়ল ৬৪ শতাংশের কিছু বেশি। এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিন ছিল প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১ টি। তার মধ্যে এদিন ছিল ৪৩ আসনে ভোট। ভোটগ্রহণ মোটের উপর নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। এদিন ভোট দিয়েছেন সস্ত্রীক মহেন্দ্র সিং ধোনি। 

 

 

 

এদিনের ৪৩ আসনের মধ্যে, ১৭ টি আসন জেনারেল, ২০ টি তফসিলি উপজাতিদের মধ্যে সংরক্ষিত এবং ছয়টি বরাদ্দ তফসিলি জাতিদের জন্য। বিধানসভার বাকি ৩৮ আসনে ভোট হবে আগামী ২০ নভেম্বর। ফলপ্রকাশ ২৩ নভেম্বর। 

 

 

 

প্রথম দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬৮৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৭৩ জন। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৩০টি আসন জিতেছিল, ভারতীয় জনতা পার্টি ২৫টি এবং কংগ্রেস ১৬ টি আসন জিতেছিল। নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডির একটি জোট সরকার গঠন হয়। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন হেমন্ত সোরেন। এবারে কে বসে ঝাড়খণ্ডের মসনদে সেটাই দেখার। 

 

 

 

নির্বাচনী ইশেতেহারের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ভোটে জিতলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এক অভিন্ন সিভিল কোড চালু করবে রাজ্যে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারীদের সেই রাজ্য থেকে হটিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ঘোষণা করেছে, শিক্ষা, কৃষি এবং আদিবাসী অধিকার সহ নয়টি ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে রাজ্য। আরেক দল কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, একটি বর্ণভিত্তিক আদমশুমারি এবং এক বছরের মধ্যে সমস্ত শূন্য সরকারি পদ পূরণ করা হবে। 

 

 

 

নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তাই প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই ছিল পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে ৯৫০ টি ভোট কেন্দ্রকে আগেই সংবেদনশীল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই সমস্ত ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বিকেল ৪ টের মধ্যেই শেষ করা হয়েছে।