আজকাল ওয়েবডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রান গেল এক শিশুর। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি শি-ইয়োমি জেলায় ঘটেছে৷ এহেন হৃদয়বিদারক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক আট বছরের শিশুর ঘটনাস্থলে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। খবর অনুযায়ী, রবিবার ভোররাতে জেলার একটি সরকারি আবাসিক বিদ্যালয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুর নাম তাশি জেম্পেন। সে চাঙো গ্রামের বাসিন্দা। পাপিকরুং সরকারি আবাসিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে রাত আনুমানিক ২টা নাগাদ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে। শি-ইয়োমি জেলার পুলিশ সুপার এস কে থোংদক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই অগ্নিকাণ্ডে তাশি জেম্পেন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। পাশাপাশি ঘটনার জেরে আরও তিনজন ছাত্র গুরুতর আহত হয়। আহত ছাত্ররা হল — লুখি পুজেন (৮), তানু পুজেন (৯) এবং তায়ি পুজেন (১১)। তাদের প্রথমে প্রায় ৮৫ কিমি দূরের জেলা সদর টাটো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের আরও ১৩০ কিমি দূরের পশ্চিম সিয়াং জেলার জোনাল জেনারেল হাসপাতালে আলো'তে স্থানান্তর করা হয়। টাটো থেকে আলো পৌঁছাতে কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহতদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল এবং তারা বিপদমুক্ত।
অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গ্রামটিতে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এটি এই তদন্তে বড় অন্তরায়। একইসঙ্গে প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলছে।
তথ্য অনুযায়ী, এই পাপিকরুং গ্রামটি শি-ইয়োমি জেলার মনিগং শহর থেকে প্রায় ১৭ কিমি দূরে অবস্থিত। এটি ভারতের শেষ সীমান্ত চৌকি তাদাদেগে গ্রামের ঠিক আগেই পড়ে। দুর্ঘটনার জেরে সমগ্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে আহতদের চিকিৎসা এবং ঘটনার তদন্তে সহায়তা করছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে৷
প্রসঙ্গত, একটি মুম্বই থেকে মালভানগামী বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। মাঝপথেই যাত্রীদের চরম বিপর্যয়। অন্তত ৪৫ জন ছিলেন ভিতরে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, রত্নগিরির কাশেদি ঘাটের কাছে ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত দুটো নাগাদ ওই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে। জানা গিয়েছে বাসটি বিলাসবহুল ছিল অর্থাৎ এটি লাক্সারি বাস।
আরও পড়ুন: বাসন না মেজে তাতে প্রস্রাব করছেন পরিচারিকা! ধরা পড়তেই হুলুস্থুল
কীভাবে চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই বাসটির একটি চাকা গরম হয়ে যায় এবং সেখান থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি চালকের নজরে আসতেই, গোটা বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই থামিয়ে দেন তিনি। যদিও ততক্ষণে বাসের বেশকিছু অংশ আগুনের গ্রাসে। যাত্রীদের মধ্যেও প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে বাস চালকের তৎপরতায় নিরাপদেই সকলকে বাস থেকে নামিয়ে আনা হয় বলে জানা গিয়েছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় খেদ পৌরসভার দমকল বাহিনী। রাত তিনটা নাগাদ আগুন নেভানো সম্পন্ন হয়। ওই সময়কালে নির্দিষ্ট রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে আগুনের কবলে পরা বাসটি যাত্রীদের উদ্ধার করে অন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য অন্য যান বাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কর্মকর্তারা ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন পোলাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কারণ জানোট তদন্ত চলছে।
