আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তর প্রদেশে ফের পথ দু্র্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদ জেলার ভোজপুর টোল প্লাজার কাছে। সূত্রে জানা গিয়েছে একটি বেপরোয়া মোটরসাইকেল রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একজন নিহত ও আরও দু'জন আহত হয়েছে। জানা গিয়েছে নিহত একজন কাঁওয়ার যাত্রী ছিলেন। আহত দুজন এখনও শনাক্ত করা যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ও আহতরা প্রতিবারের মত এবারও বার্ষিক কাঁওয়ার যাত্রার অংশ হিসেবে হরিদ্বার থেকে পবিত্র জল সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন সেখান থেকে তাঁরা নয়ডার ভাঙ্গেলে ফিরছিলেন। মোদিনগরের এসিপি জ্ঞান প্রকাশ রাইয় জানিয়েছেন, 'তিনজন আকাশ বিষ্ট, অংশুল অবস্থি এবং রাহুল চৌবে। এঁদের প্রত্যেকের বয়স বয়স ২০-এর কোঠার মাঝামাঝি। বার্ষিক কাঁওয়ার যাত্রার অংশ হিসেবে হরিদ্বার থেকে পবিত্র জল সংগ্রহ করে নয়ডার ভাঙ্গেল ফিরছিলেন। ফেরার পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন'। ঘটনার জেরে একজন প্রাণ হারান। দুজন গুরুতর আহত৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ বাকি দুজন কে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়৷
সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে, রবিবার, অর্থাৎ ঘটনার দিন মধ্যরাতে আকাশ নামক যুবক তাঁর বাইক চালাতে চালাতে আচমকা ঝিমিয়ে পড়েন৷ এমন সময় তাঁদের বাইকটি একটি ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে। পুলিশ নিহত ও আহতের পরিবারের সদস্যদের দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছে।
'তিনজনই গুরুতর আহত হন। এরপর তাঁদের দ্রুত মিরাটের সুভারতী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা করাকালীন অংশুল অবস্তিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি দুজন বর্তমানে চিকিৎসাধীন।' আরও জানান এসিপি।
প্রসঙ্গত, হরিদ্বার থেকে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী কাঁওয়ার যাত্রা এবারও হিংসা, আইন লঙ্ঘন এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার চিত্র সামনে নিয়ে এসেছে। ১১ জুলাই শুরু হওয়ার পর মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে ১৭০-রও বেশি কাঁওয়ারিয়া বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। মেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে বাধা দেওয়া, জনশান্তি ভঙ্গ ও বেআইনি আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ (ABAP) চলতি মাসের ১৫ জুলাই এক বিবৃতিতে যাত্রীদের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তাঁরা যেন এই প্রাচীন তীর্থযাত্রার আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য বজায় রাখেন এবং এমন কিছু না করেন যা এর ধর্মীয় গুরুত্বকে ক্ষুন্ন করে। পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী বলেন, 'এটা শুধুই ভ্রমণ নয়, এটা এক গভীর ভক্তির প্রতীক- যার শিকড় ত্রেতা যুগ পর্যন্ত প্রসারিত। কাঁওয়ার যাত্রীরা মনে করেন এটি ত্যাগ, সেবা ও সহানুভূতির প্রতীক। দম্ভ বা হিংসার নয়।'
