আজকাল ওয়েবডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ (সংশোধন) আইন, ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এই আইন পাস হওয়ার প্রক্রিয়ায় গুরুতর সাংসদীয় অনিয়ম হয়েছে এবং তা ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত একাধিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

মৈত্র ৯ই এপ্রিল তাঁর পিটিশন দাখিল করেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, "ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট গ্রহণ এবং তা সংসদে পেশ করার ক্ষেত্রে সভাপতিকে কেন্দ্র করে বহু নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে। বিরোধী সাংসদদের ভিন্নমত সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে এবং তা রিপোর্ট থেকে বিনা ব্যাখ্যায় বাদ দেওয়া হয়েছে।"

এই আইনটি সংবিধানের ১৪ (সমতার অধিকার), ১৫(১) (বৈষম্যের বিরুদ্ধে অধিকার), ১৯(১)(ক) ও (গ) (মত প্রকাশ ও সংগঠনের অধিকার), ২১ (ব্যক্তিগত স্বাধীনতা), ২৫ ও ২৬ (ধর্মীয় স্বাধীনতা), ২৯ ও ৩০ (সংখ্যালঘু অধিকার) এবং ৩০০ক (সম্পত্তির অধিকার) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করে বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বাধীন একটি তিন বিচারপতির বেঞ্চ— যাতে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কে.ভি. বিশ্বনাথন— এই সংক্রান্ত মোট দশটি মামলা ১৬ই এপ্রিল শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছেন।

এই মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির আবেদনের পাশাপাশি আপ নেতা আমানতুল্লাহ খান, আরজেডি সাংসদ মনোজ কুমার ঝা, সিপিআর (Association for Protection of Civil Rights), জামিয়াত উলামা-ই-হিন্দ, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, ডিএমকে, কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ি ও মহম্মদ জাওয়েদের পিটিশন।

সামাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়া-উর-রহমান বারকও সম্প্রতি একই বিষয়ে পিটিশন দায়ের করেছেন।

এখন বিরোধীদের সবার নজর ১৬ এপ্রিলের দিকে, যেদিন সুপ্রিম কোর্টে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি, সেই দিকে।