আজকাল ওয়েবডেস্ক: দলত্যাগ রুখতে অভিনব পদক্ষেপ হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকারের। বিধায়করা পাবেন না আর পেনশন। তবে এ নিয়ম শুধু দলত্যাগী বিধায়কদের জন্যই প্রযোজ্য। অনেকেই আছেন, যারা ভোটে জেতার পর যে দল থেকে দাঁড়ান সেই দল ছেড়ে অন্যদলে লাফ দেন। তাদের জন্যই হিমাচল প্রদেশে নতুন এই বিল। নতুন এই নিয়ম।

 

 

প্রতিবছর ভোট মিটলেই দেখা যায়, নেতাদের দল বদলানোর হিড়িক। কখনও টাকা দিয়েও চলে বিধায়ক কেনাবেচা। সারা দেশেই কম-বেশি দেখা মেলে এই চিত্রের। এবার তাতেই পড়তে চলেছে ছেদ। ভোটে জেতার পর দল পাল্টালে আর যাবে না পেনশন পাওয়া। বেকায়দায় পড়বেন দলবদলু বিধায়কেরা।

 

 

দলত্যাগী বিরোধী আইন বহুদিন থেকেই রয়েছে এ দেশে। এরপর এই নতুন বিল হিমাচলের বিধানসভায় পেশ করা হল। ঘটনাচক্রে এই বছরের শুরুতে দলের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ছয় কংগ্রেস বিধায়ককে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশের বিধানসভায় সদস্যদের ভাতা এবং পেনশন সংশোধনী বিল ২০২৪ পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।

 

 

বিলে বলা হয়, কোনও ব্যক্তিকে যদি সংবিধানের দলবদল বিরোধী আইন অনুযায়ী, কোনও সময়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তবে তিনি বিধায়কের জন্য নির্দিষ্ট পেনশন পাবেন না। প্রসঙ্গত, এই বছরের শুরুর দিকে, ২০২৪-২৫ বাজেট পেশের সময় কংগ্রেসের ছয়জন বিধায়ক – সুধীর শর্মা, রবি ঠাকুর, রাজিন্দর রানা, ইন্দর দত্ত লক্ষণপাল, চেতন্য শর্মা এবং দেবীন্দর কুমার দলের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। ফলে দল তাঁদের বহিষ্কার করে।

 

 

পরে সুধীর শর্মা আর ইন্দর দত্ত লক্ষণপাল উপনির্বাচনে জিতে ফিরে আসেন কিন্তু বাকিরা হেরে যান। ১৯৭১ সালে পাশ হয় দলত্যাগ বিরোধী আইন। এদিনের এই বিলের প্রস্তাবনায় বলা হয়, ১৯৭১ এর বিলে সদস্যদের দলত্যাগকে নিরুৎসাহিত করতে কোনও নিয়ম নেই। তাই দলত্যাগী বিধায়কদের সংখ্যা কমাতে এই বিল আনা হয়েছে।