অরিন্দম মুখার্জি : মঙ্গলবার জামশেদপুর আকাশপথে যে বিমানটি হারিয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার সকালে তার খোঁজ মিলল। এদিন সকাল আটটার পর খোঁজ মেলে বিমানটির। এই বিমানে পার্টনার পাইলট জিৎ শত্রু এবং ট্রেনি পাইলট শুভ্রদীপ দত্ত ছিল। এরা প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বিমান নিয়ে আকাশে উড়েছিল।
কিন্তু তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের। তারপর থেকে আলকেমিস্ট এভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের এই বিমানটিকে কোনওভাবেই জামশেদপুর সোনারি বিমানবন্দর কন্ট্রোল যোগাযোগ করতে পারছিল না। এরপর তাঁরা বিভিন্ন দিকে খোঁজ করতে শুরু করে। জঙ্গল থেকে শুরু করে চান্ডিল ড্যামে নেমেও খোঁজ করা হয়। অভিযানে নামে ১৫ জন এনডিআরএফ-এর দল। তবে তাঁরা যখন খোঁজ পাচ্ছিল না তখন চান্ডিল জেলা প্রশাসন ঝাড়খন্ড সরকারের সাহায্য নিয়ে নৌবাহিনীর ডুবুরিদের ডাকে।
তাঁরা অত্যাধুনিক সামগ্রী নিয়ে চান্ডিল ড্যামে আসার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় চান্ডিল ড্যামে কল্যাণপুরের দিকে শুভ্রদীপ দত্তের মৃতদেহ ভেসে ওঠে। প্রথমে দেহ দেখতে পায় মৎস্যজীবীরা। তাঁরা এই চান্ডিল ড্যামে মাছ ধরে। এরপর তাঁরা চান্ডিল ড্যামের মৎস্যজীবী সমিতিকে খবর দেয়। এরপরই শুভ্রদীপ দত্তের দেহ তোলার ব্যবস্থা করা হয়। দীর্ঘসময় ধরে জলে থাকার ফলে দেহ ফুলে উঠেছিল। তবে পোশাকে নাম দেখে সেখান থেকেই সনাক্ত করা হয় শুভ্রদীপকে।
শুভ্রদীপ দত্ত বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। জেলা প্রশাসন শুভ্রদীপ দত্তের পরিবারকে খবর দিয়েছে এবং তাঁদের আসার ব্যবস্থা করেছে। সেরাইকেলা খারসাওয়ান জেলার আদিত্যপুরের ইছাপুরে বাড়ি শুভ্রজিৎ দত্তের। তবে পাটনার বাসিন্দা আরেক পার্টনার পাইলট জিৎ শত্রুর দেহ এখনও উদ্ধার হয়নি। তাঁর দেহ উদ্ধারে চলছে তল্লাশি অভিযান।
