আজকাল ওয়েবডেস্ক: নেভি মার্চেন্ট অফিসার সৌরভ রাজপুতের নৃশংশ খুনে শিউরে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাট। তাঁকে খুনের পর দেহ লোপাটে পরিকল্পনাও করে রেখেছিলেন মুসকান এবং সাহিল। হিমাচল প্রদেশ থেকে ফিরে তাঁরা সিমেন্টের ড্রামে ভরা সৌরভের দেহ কোথাও ফেলে রেখে আসবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁরা একটি ভুল করে ফেলেছিলেন। সৌরভের দেহের ১৫টি টুকরো ভরা সিমেন্টের ড্রামের ওজন সম্পর্কে ধারণা করতে পারেননি তাঁরা। এই ভুলের কারণেই বর্তমানে হাজতবাস করতে হচ্ছে দু'জনকে।
এখন পর্যন্ত তদন্ত অনুযায়ী, মুসকান এবং সাহিল ৩ মার্চ গভীর রাতে সৌরভকে হত্যা করেন। এরপর দেহটি ১৫ টুকরো করা হয়। এই টুকরোগুলি একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ফেলে দেওয়া হয় এবং তার উপর ভেজা সিমেন্ট ঢেলে দেওয়া হয়। এরপর মুসকান এবং সাহিল দুই সপ্তাহের হিমাচলে ঘুরতে চলে যান। ফিরে আসার পরে ড্রামটি ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। শিমলা থেকে ফিরে এসে তাঁরা ড্রামটিকে সরানোর জন্য কয়েক জন শ্রমিককে ডাকেন। দেহাংশের সঙ্গে সিমেন্টের ভার মিলে ড্রামের ওজন যে অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, তা মুস্কানেরা বিবেচনা করেননি। ড্রামটি এত ভারি ছিল যে শ্রমিকরা সেটি তুলতে পারেননি। তাঁদের প্রচেষ্টার সময় ড্রামের ঢাকনাটি খুলে পচা গন্ধে চারিদিক ছড়িয়ে পড়ে। ড্রামটি তুলতে না পেরে এবং দুর্গন্ধের সন্দেহে শ্রমিকেরা সেখান থেকে চলে যান।
এর পর ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন মুসকান। তিনি দ্রুত বাপের বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে বাবা-মায়ের প্রশ্নের মুখেই সত্যিটা স্বীকার করে ফেলেন। তার পর তাঁকে থানায় নিয়ে যান তাঁর বাবা-মা। তাঁরা দু’জনেই জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ে যে কাজ করেছে, তার কোনও ক্ষমা হয় না। দু’জনেই মেয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।
এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, সাহিল নিয়মিত মুসকানের মিরাটের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। তিনি বলেন, "ভাল মেয়ে ছিল মুসকান। আমি কখনও কল্পনাও করিনি যে সে এমন কিছু করতে পারে। ৩ মার্চ আমরা খুনের খবর পাইনি। ১৭ মার্চ, আমি তাঁকে একা চুপচাপ বসে থাকতে দেখেছি। এখন আমি বুঝতে পারছি সে ড্রামটি কীভাবে ফেলে দেবে তা ভাবছিল। আমি শুনেছি যে বেশ কয়েকজন শ্রমিক এসেছিলেন। কিন্তু ড্রামটি তুলতে পারেনি।"
