আজকাল ওয়েবডেস্ক: মিরাটের সৌরভ-খুনে জেলে রয়েছেন সাহিল-মুসকান। কারাবাসের প্রথম দিকে জানা যাচ্ছিল, কেবল মাদক দ্রব্যের খোঁজ করছেন তাঁরা। সৌরভ খুনে চৌধুরী চরণ সিং জেলা জেলে রয়েছেন দু' জনে। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাননি কেউ। তবে দেখা হল, একেবারে রামের সঙ্গে।
পর্দার রাম, বর্তমানে রাজনীতিবিদ অরুণ গোভিল। সাংসদ নিজের সংসদীয় এলাকায় ‘ঘর ঘর রামায়ন’ উদ্যোগ সফল করছেন। প্রায় মাসখানেক আগে শুরু হওয়া এই উদ্যোগে ইতিমধ্যে হাজার হাজার রামায়ন বিলি করেছেন তিনি। জেলে বন্দিদের মধ্যেও রামায়ন বিলি করছিলেন।
সেখানেই দেখা মুসকান-সাহিলের সঙ্গে। যদিও সাংসদ কোনও বন্দির সঙ্গে আলাদ করে কথা বলেননি। তবে সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রামায়ন হাতে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মুসকান, সাহিল। সাংসদ তথা পর্দার রাম বলছেন, ‘রামায়ণের প্রতি বন্দীরা অপরিসীম শ্রদ্ধা দেখিয়েছে। এর শিক্ষার সামান্য অংশও যদি অনুসরণ করা হয়, তাহলে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।‘
প্রেমের সম্পর্কের পরিণতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল সৌরভ রাজপুত ও মুসকান রাস্তোগি। সৌরভ মার্চেন্ট নেভি ছিলেন পেশায়। সেই চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফেরেন। মাঝে পারিবারিক অশান্তি, সৌরভের বাবা-মায়ের থেকে পৃথক থাকার ঘটনাও ঘটে। এসবের মাঝেই জন্ম নেয় সৌরভ-মুসকানের মেয়ে। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও দু’ জনের সম্পর্কে ফাটল ধরে সৌরভের বন্ধু সাহিলের সঙ্গে মুসকান সম্পর্কে জড়ানোর পর। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, পারিবারিক অশান্তি তীব্র হওয়ার পর, ফের জাহাজের কাজে ফিরে যান সৌরভ। সম্প্রতি মেয়ের জন্মদিনের জন্য ফিরে এসেছিলেন দিনকয়েকের ছুটিতে। ওই ছুটির মাঝেই স্ত্রী এবং বন্ধু মেলে পরিকল্পনা করে খুন করে সৌরভকে। ১৫ টুকরো করে, ড্রামের মধ্যে ভরে সিমেন্ট দিয়ে আটকে দেয়।
