আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত সপ্তাহে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-র দুর্ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কতটা পলকা অবস্থায় রয়েছে ভারতের অসামরিক বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাজেট কমছে, কর্মীসংকট চরমে, আর পাইলট ও এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার (ATCO)-এর ঘাটতি নিয়ে সরকার নির্বিকার। ২০১৪ সালে ৬৬ মিলিয়ন যাত্রী থাকলেও, ২০২৪-এ তা বেড়ে হয়েছে ১৬১ মিলিয়ন। কিন্তু সেই অনুপাতে বাড়েনি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কর্মী সংখ্যা বা পরিকাঠামো। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-এ মোট পদসংখ্যার প্রায় ৪৮% ফাঁকা, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে ৩০% ঘাটতি।
২০২৩-২৪ সালে যেখানে MoCA-র পুঁজি বরাদ্দ ছিল ৭৫৫ কোটি, ২০২৪-২৫-এ তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭০ কোটি— ৯১% হ্রাস। রাজ্যসভার এক সাংসদ নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি এই অবহেলার বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রতিবেদন পেশ করলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। বিমানচালক প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান IGRUA-র অবস্থা করুণ। ২০১৭ সালে যেখানে ২৪টি প্রশিক্ষণ বিমান ছিল, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫টিতে। আর RGNAU-র বাজেট একধাক্কায় ১৮ কোটি থেকে কমে হয়েছে ১০ কোটি।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার হার আরও বাড়বে। কারণ বহু পুরনো বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথভাবে হচ্ছে না, আর প্রশিক্ষিত পর্যবেক্ষকের অভাবে ‘স্পট চেক’ও প্রায় বন্ধ। এই সংকট এখনই গুরুত্ব দিয়ে না দেখলে, ভারতীয় আকাশে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়বে বলে সতর্ক করছেন প্রবীণ পাইলট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
