গত ৩০ নভেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন পিসি সরকারের মেজ মেয়ে তথা অভিনেত্রী মৌবনী সরকার। তাঁর বিয়ে উপলক্ষ্যে সম্প্রতি আশীর্বাদ এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সেই চিঠি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন জাদু সম্রাটের মেজ কন্যা।
জাদু সম্রাটের মেয়ের বিয়ে, আর তাতে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা বার্তা। মৌবনী এদিন যে ছবিটি ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে লেখা, সেখানে দেখা যাচ্ছে চিঠিটি জাদু সম্রাট এবং তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী সরকারের নামে এসেছে। লেখা রয়েছে, 'মৌবনী এবং সৌম্য একত্রে বিশ্বাস ভরা আজীবনের পথচলা শুরু করছে, তার জন্য শুভেচ্ছা এবং অনেক ভালবাসা। প্রতিদিন যেন ওদের একে অন্যের প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। একশত বছর ওরা একসঙ্গে কাটাক, এগিয়ে নিয়ে চলুক বংশকে। অনেক ধন্যবাদ আমাকে বিয়েতে নিমন্ত্রণ জানানোর জন্য।' বলাই বাহুল্য, মৌবনী এবং সৌম্যর বিয়েতে জাদু সম্রাটের তরফে নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তার জবাবেই এই চিঠি।
এদিন সেটা সকলের সঙ্গে ভাগ করে মৌবনী লেখেন, "এর থেকে বেশি খুশি আর কীসে হবো? আমার এবং সৌম্যর বিয়ে উপলক্ষ্যে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকে এই ভালবাসায় ভরা চিঠি পেলাম। ধন্যবাদ আমাদের আশীর্বাদ করার জন্য। আমাদের এবং পরিবারের তরফে প্রণাম নেবেন।"
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে তিন মেয়ের পাত্র খোঁজা শুরু করেন জাদু সম্রাট। এক বছর পর, নভেম্বর মাসেই তাঁর মেজ মেয়ে মৌবনী সাতপাকে বাঁধা পড়েন। দেবশ্রী রায় থেকে শুরু করে পাপিয়া অধিকারী, রজতাভ দত্ত, অগ্নিমিত্রা পাল, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, প্রমুখ এসেছিলেন তাঁদের বিয়েতে। রীতিমত চাঁদের হাট বসেছিল। বিয়ের দিন মৌ বনী লাল বেনারসি, গা ভর্তি সোনার গয়নায় সেজেছিলেন। সৌম্যর পরনে ছিল ঘিয়ে রঙের প্রিন্টেড পাঞ্জাবি, লাল ধুতি। সঙ্গে গলায় হার, মাথায় মুকুট ছিল তাঁর। এদিন সৌম্যকে আশীর্বাদ করে পিসি সরকার হীরের বোতাম দেন। প্রসঙ্গত সৌম্য চন্দননগরের ছেলে। বিয়ের পরের অভিজ্ঞতা জানিয়ে মৌবনী আজকাল ডট ইন-কে জানিয়েছিলেন, "চন্দননগরে আগেও এসেছি। কিন্তু এই শহরটাকে যে এভাবে পাব, তা কখনও ভাবিনি। বিয়ের সমস্ত নিয়ম খুব মজা করে সবাই পালন করেছি। মাত্র ক'দিন হয় এসেছি এই বাড়িতে কিন্তু মনে হচ্ছে এটাই আমার বাড়ি। শ্বশুর-শাশুড়ির মতো ভাল মানুষ আর হয় না। আমার শাশুড়ির সুশিক্ষা ওঁকে দেখলেই বোঝা যায়। আচার-আচারণ থেকে শুরু করে আমায় আগলে নেওয়ার ক্ষমতা, এসব সুশিক্ষা আর ভাল মনের জোরেই। নিজের মায়ের মতোই আগলে রাখছেন আমায়।"
