আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকালে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু মিনিট পরেই লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 ফ্লাইটটি ভেঙে পড়ে শহরের উপকণ্ঠ মেঘানিনগরের একটি আবাসিক এলাকায়। বিমানটিতে ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ছিল বোয়িং কোম্পানির তৈরি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যার নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। বোয়িংয়ের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার এবং হুইসলব্লোয়ার স্যাম সেলেহপুর মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে (FAA) জানিয়েছিলেন যে, ৭৮৭ বিমানের ফিউজলাজ বা দেহাংশ সঠিকভাবে যুক্ত হয়নি এবং তা দীর্ঘদিন ব্যবহারে ছিঁড়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, অভিজ্ঞ পাইলট সুমিত সাবরওয়াল ও সহ-পাইলট ক্লাইভ কুন্দারের নেতৃত্বে বিমানটি উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘মে ডে’ সংকেত পাঠিয়েছিল। এদিকে বোয়িং দাবি করেছে, তাদের বিমানের গঠনগত সুরক্ষা নিয়ে অভিযোগ মিথ্যা এবং তারা দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবরকম পদক্ষেপ নিয়েছে।
৭৮৭ সিরিজের বিমানগুলো ৫০ বছর পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য বলে বোয়িং জানালেও ইতিমধ্যেই ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুটি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জনের মৃত্যু, এবং ২০২৪ সালে আরও একটি বড় দুর্ঘটনার কারণে সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার পর নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত বোয়িং-এর শেয়ারমূল্য ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তদন্ত চলছে।
