নিতাই দে, আগরতলা: পুজো দেখে বাড়ি ফেরার পর খুন মা-মেয়ে। ঘটনা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার আমতলী থানা এলাকার ওএনজিসির নেতাজি নগর এলাকায়। জানা গেছে, দশমীর দিন রাতে দুর্গাপুজো দেখে বাড়ি ফেরার পর এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে জামাই ।
আমতলী থানার পুলিশ সমরজিৎ চৌধুরিকে আটক করেছে। জোড়া হত্যাকান্ড নিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার কিরন কুমার কে জানিয়েছেন, রবিবার ভোররাতে আনুমানিক চারটা নাগাদ আমতলী থানা পুলিশের কাছে একটি খবর আছে ওই হত্যাকান্ডের বিষয়ে।
পুলিশ গিয়ে দেখেন আমতলী থানা নেতাজি নগর এলাকায় স্ত্রী তনুশ্রী আচার্য এবং শাশুড়ি সুমা আচার্যের মৃতদেহ বাড়ি উঠানে পড়ে রয়েছে। এবং তাদেরকে দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে মধুপুর এলাকা থেকে তনুশ্রীর স্বামী সমরজিৎকে গ্রেপ্তার করেছে। পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপার আরো জানান গত দেড় বছর ধরে আলাদা থাকছেন তনুশ্রী। আদালতে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তনুশ্রী তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতেন। তনুশ্রীর দুই সন্তান স্বামী সমরজিত চৌধুরীর সঙ্গে থাকতেন।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তি র স্বীকারোক্তিতে স্ত্রী ও শাশুড়িকে খুনের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। সমরজিত পুলিশকে জানিয়েছে ২ যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর পুজোয় আনন্দ করার ছবি স্ত্রীর সামাজিক মাধ্যমে দেখে খুনের পরিকল্পনা করে সে। রবিবার রাতে সমরজিৎ শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে ছিল। স্ত্রী ও শাশুড়ি পুজো দেখে বাড়ি ফেরার পর তাঁদের এলোপাথাড়ি আঘাত করে। ঘটনাস্থলে দু' জনের মৃত্যু হয়। সে স্বীকার করেছে, প্রথমে স্ত্রীকে দা দিয়ে আঘাত করে। মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শাশুড়িকেও কুপিয়ে খুন করে। পুলিশ মৃতদেহ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে।
