আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে পাশের বাড়ির ভাইয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। গ্রামে ফিরেই রটনা কানে এসেছিল যুবকের। যা ঘিরে অশান্তিও তুমুল হয়। শেষমেশ চরম পদক্ষেপ করলেন নিজের বাড়িতে। স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ফতেহপুরে। মৃতেরা হলেন, মুকেশ নিষাদ (৩২) এবং গুড়িয়া দেবী (২৬)। প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করে খুন করেন মুকেশ। সঙ্গে সঙ্গে সেই বন্দুক দিয়েই নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মুকেশ কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। দিন কয়েক আগে ফতেহপুরে বাড়িতে ফেরেন। গ্রামে ফেরার পর কানাঘুষো শোনেন, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। যা ঘিরে দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছয়। শনিবার গভীর রাতেও দম্পতির মধ্যে তুমুল বচসা হয় এই সম্পর্ক ঘিরে। সন্দেশের বশেই রাগের মাথায় চরম পদক্ষেপ করেন মুকেশ।
দেশী পিস্তল দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করে খুন করেন। এরপর সেই পিস্তল দিয়েই নিজেকে গুলি করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়তেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাড়িতেই অন্যান্য ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল দম্পতির তিন মেয়ে এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা। গুলির আওয়াজ পেয়েই সকলের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিবেশীরাও তড়িঘড়ি করে ছুটে আসেন। দরজা ভেঙে দম্পতির রক্তাক্ত দেহ দেখেই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। সেই দেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আধিকারিক মহেন্দ্র পাল সিং জানিয়েছেন, দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশী পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছে। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই তরুণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে গ্রামেও জল্পনা রটেছিল। গ্রামে ফিরেই এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন মুকেশ। তারপর থেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলা থেকে বর্ষা বিদায়, এবার হু হু করে নামবে পারদ! কালীপুজোর আগেই আবহাওয়ার বিরাট বদল
প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সন্দেহের বশে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। বিয়ের পর থেকে নিত্যদিন অশান্তি। শেষমেশ শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন যুবতী। বাপের বাড়ি এসেও বিপদ পিছু ছাড়ল না। একঘর আত্মীয়র সামনে যুবতীকে কুপিয়ে খুন করল তাঁর স্বামী। খুনের ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘাতক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াহতে। পুলিশ সূত্রে খবর, দু'জনের ছয় বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু পারিবারিক অশান্তির কারণে সাত মাস আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন যুবতী। কিন্তু তারপরেও তাঁর প্রতি সন্দেহ কমেনি স্বামীর। ঘাতক যুবকের সন্দেহ ছিল, তার ভাগ্নের সঙ্গে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে সন্দেহের জেরেই অশান্তি এবং খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে সে।
মৃতার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে আচমকা যুবতীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে যুবক। এরপর সকলের সামনেই তুমুল ঝামেলা হয় দুজনের। আচমকা ধারাল ছুরি বের করে যুবতীর উপর হামলা চালায় সে। একাধিকবার স্ত্রীর মাথায় এবং গলায় ছুরির কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ঘাতক যুবককে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খুনের ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
