আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটি বেপরোয়া দ্রুতগতির গাড়ি ফ্লাইওভারের রেলিং ভেঙে প্রায় ৫০ ফুট নিচে পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, গাড়িটি পূর্ত দপ্তরের (PWD) অফিসে গিয়ে পড়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ৪৮ বছর বয়সী ব্যক্তির। ঘটনায় তাঁর ছেলেও গুরুতর আহত। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরে রাজনগর ফ্লাইওভারে।
নন্দগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উপাসনা পান্ডে জানিয়েছেন, ভোর ৩টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের অনুমান, চালক প্রিন্স (যাঁর বয়স ২৫-এর কাছাকাছি) গাড়ি চালানোর সময় সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই দু্র্ঘটনা৷
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে প্রিন্সের সঙ্গে তাঁর বাবা রাকেশ কুমারও ছিলেন। তাঁরা দু'জনেই জাগ্রতি বিহারের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর তাঁরা দু'জনেই দুমড়ে যাওয়া গাড়ির ভেতরে আটকে পড়েন। পরে স্থানীয় মানুষ ও পুলিশের চেষ্টায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
তাঁদের তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা রাকেশ কুমারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলে প্রিন্সের চিকিৎসা চলছে, তবে তিনি এখন বিপন্মুক্ত। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বর্তমানে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে৷
অন্যদিকে রাজধানিতে ভয়াবহ দু্র্ঘটনা৷ প্রকাশ্য রাস্তায় সজোরে ধাক্কা খেয়ে নিহত এক যুবতী। খবর অনুযায়ী গুরুতর আহত হওয়ার পর প্রাণ হারান ওই যুবতী। দুর্ঘটনার ঠিক পরেই দিল্লি পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। শুরু হয় তদন্ত। জোর তল্লাশির পর অবশেষে হদিস পায় অভিযুক্ত গাড়ির। জানা গিয়েছে ঘটনাটি ঘটায় এক সাদা হুণ্ডাই আই২০।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আইপি এস্টেট থানায় দুপুর ২টো ৩২ মিনিট নাগাদ একটি খবর আসে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংবিধানের ২৮১ এবং ১০৬(২) ধারায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়।
তদন্ত চলাকালীন, পুলিশ যমুনা সেতুর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে লাগানো একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে। প্রাথমিক বিশ্লেষণের পর প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি গাড়িকে শর্টলিস্ট করা হয় এবং সেগুলির মালিকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক চালক পুলিশকে জানান যে, অভিযুক্ত সাদা হুণ্ডাই আই২০ গাড়িটি দ্রুত গতিতে সচিবালয় ভবনের দিকে পালাচ্ছিল। যদিও গাড়ির নম্বর প্লেটটি তিনি স্পষ্ট দেখতে পাননি।
এরপর কিষাণ ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ফুটেজ আরও নিপুণভাবে পরীক্ষা করে দেখা হলে অবশেষে সেই গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি দরিয়াগঞ্জের এক বাসিন্দার নামে নথিভুক্ত। তাঁর খোঁজে যেতেই জানা যায়, তিনি ঠিকানা পরিবর্তন করে দিল্লির এমএএমসি ক্যাম্পাসে চলে গিয়েছেন। পুলিশ দ্রুত সেই নতুন ঠিকানায় পৌঁছে যায়। এরপর অভিযুক্ত গাড়ির পাশাপাশি তার চালককেও চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে।
খবর অনুযায়ী, ধৃতকে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করা হয়। জেরার মুখে সে স্বীকার করে যে, দুর্ঘটনার সময় সে-ই গাড়িটি চালাচ্ছিল। পরে ধরা পড়ার ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে মৃত যুবতীর পরিচয় জানার জন্য আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
