আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার পারু এলাকায় এক গৃহবধূর ওপর নারকীয় নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী মহিলা অভিযোগ করেছেন, স্বামী তাঁর যৌনাঙ্গে লঙ্কাগুঁড়ো ঢুকিয়ে দেন, উরুতে গরম ইস্ত্রি চেপে পুড়িয়ে দেন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করার চেষ্টা করেন।

১৩ জুন ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। অভিযোগ, এরপর তাঁকে দুই দিন না খাইয়ে একটি ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়। ১৫ জুন ভাইয়ের হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে। প্রথমে তাঁকে পারু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়, পরে শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় স্থানান্তর করা হয় শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

১৬ জুন স্বামী শত্রুঘ্ন রাই, শাশুড়ি দুখনি দেবী, দেবর সুমেশ রাই ও ননদ পুষ্পা দেবীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন ওই মহিলা। বর্তমানে স্বামী পুলিশি হেফাজতে থাকলেও বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। জেলার পুলিশ আধিকারিক রাম বিনয় কুমার জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। গার্হস্থ্য হিংসা ও শারীরিক নির্যাতনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে।”

ভুক্তভোগীর কথায়, বিয়ের ১০ বছর পর হঠাৎই স্বামী ও তার পরিবার তাঁকে পরকীয়ার অপবাদ দিতে শুরু করে। তিনি পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের নির্দোষ প্রমাণ করতে চাইলেও, তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ আশ্বস্ত করেছে, দোষীরা কোনওভাবেই ছাড় পাবে না এবং নির্যাতিতাকে পূর্ণ সহায়তা প্রদান করা হবে।