নিতাই দে, আগরতলা: বাংলাদেশে বিএনপি'র ঢাকা থেকে আগরতলা পর্যন্ত লং মার্চকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় আগরতলার আখাউড়া সীমান্তে। বিএসএফের পাশাপাশি সীমান্তে এদিন সিআরপিএফ ত্রিপুরার স্টেট রাইফেলস এবং ত্রিপুরা পুলিশ বাহিনীর জোয়ানদের ব্যাপক হারে মোতায়েন করা হয়। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চূড়ান্ত প্রস্তুত ছিল নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।
বাংলাদেশের একাংশ মানুষের ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর মধ্যেই সে দেশের বিরোধী দল বিএনপি ঢাকা থেকে আগরতলা অভিযানের ডাক দিয়েছে। তাদের এই মিডিয়ায় প্রচার পাওয়া নাম দেওয়া হয়েছে লং মার্চ। তবে তাদের অভিযানের কালকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত সরকার এবং ত্রিপুরা সরকার। এর প্রেক্ষিতে আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট ও ত্রিপুরা রাজ্যের গোটা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টেবিশেষ তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার ড. কিরণ কুমারকে নিজে আখাউড়া চেকপোষ্টের বাইরে দাঁড়িয়ে গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ। সেই সঙ্গে আখাউড়া সীমান্তে বিএসএফের পাশাপাশি টিএসআর বাহিনী এবং পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রায়েট কন্ট্রোল ভ্যান, জলকামান টি আর গ্যাস শেল পর্যাপ্ত সংখ্যায় মজুদ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমকে জানান, উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে গত এক সপ্তাহ ধরে আখাউড়া সহ রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনী দিয়েও টহল দেওয়ানো হচ্ছে। গোয়েন্দাবাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নিরাপত্তার অতি বাহিনী প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে যাত্রী পারাপার অব্যাহত রয়েছে।
