আজকাল ওয়েবডেস্ক: অতি সম্প্রতি বহুজাতিক সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো (এলঅ্যান্ডটি)-র চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার আফশোস, আমি কর্মীদের দিয়ে রবিবার কাজ করাতে পারি না। যদি তা করাতে পারি আমার চেয়ে খুশি কেউ হবে না। কারণ আমি নিজেও রবিবার কাজ করি।‘ তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে বসে থেকে কী করবেন? কতক্ষণ স্ত্রীর মুখের দিকে চেয়ে বসে থাকবেন? অফিসে আসুন কাজ শুরু করে দিন।‘ এমনকি তিনি পরামর্শ দেন সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার জন্য।

ব্যাস। তার এই মন্তব্যের পরেই মুহূর্তে ফিরে আসে নারায়ণমূর্তির প্রসঙ্গও। তিনিও কর্মীদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের কথা বলেছিলেন। পরপর দুই সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের মুখে সপ্তাহে আরও বেশি সময় ধরে কাজ নিয়ে জোর চর্চা হয়েছে প্রায় সব মহলেই।

এই পরিস্থিতিতে, সমীক্ষা, কোন দেশে কতক্ষণ কাজ করেন কর্মীরা। 

তুলনায় কম জনসংখ্যা হলেও, কাজের হিসেবে তালিকায় শীর্ষে ভূটান। সেখানকার কর্মীরা সপ্তাহে প্রায় ৫৪.৪ ঘণ্টা কাজ করেন।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আরব। সেখানে কর্মীরা প্রায় ৫০.৯ ঘণ্টা কাজ করেন সপ্তাহে।

দেশ হিসেবে লেসোথো তৃতীয়স্থানে, সেখানকার কর্মীরা সপ্তাহে গড়ে ৫৪.৪ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন।

কঙ্গোয় মানুষজন সপ্তাহে গড়ে ৪৮.৬ ঘণ্টা কাজ করেন।

তালিকায় পঞ্চম স্থানে কাতার। সেখানকার কর্মীরা গড়ে ৪৮ঘণ্টা কাজ করেন প্রতি সপ্তাহে।

লাইবেরিয়া তালিকায় ষষ্ঠস্থানে। সপ্তাহে ৪৭.৭ ঘণ্টা কাজ করেন কর্মীরা সপ্তাহে। 

অষ্টম স্থানে রয়েছে লেবানন। কর্মীরা গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৪৭.৬ ঘণ্টা কাজ করেন। 

মঙ্গোলিয়ার কর্মীরাও প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪৭ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। 

জর্ডনের কর্মীরা প্রতি সপ্তাহে ৪৭ ঘণ্টা কাজ করেন গড়ে।


আইএলও-র প্রকাশ করা তালিকায় তেরো  নম্বরে ভারত। ভারতীয় কর্মচারীরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪৬.৭ ঘণ্টা কাজ করেন। যদিও ৫১ শতাংশ কর্মশক্তি প্রতি সপ্তাহে ৪৯ বা তার বেশি ঘণ্টা কাজ করে, দীর্ঘ সময়ের কাজের সময়ের সর্বোচ্চ হার-সহ দেশগুলির মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।