আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাগরিকদের সুবিধে দিতে নানা প্রকল্প চালায় ভারত সরকার। বহু মানুষ এ দেশে বসবাস করেন যারা দু বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন না। সকলেই যাতে খেতে পান তাই খুব কম দামে রেশন দেয় সরকার। একটি কার্ড দেয় সরকার যা পরিচিত রেশন কার্ড নামে। এর মাধ্যমে খুব অল্প দামের বিনিময়ে চাল এবং গম পায় সরকারগুলো।
বর্তমানে এই রেশন কার্ডের কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে ভারত সরকারের তরফে। তাঁর শেষ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ডিসেম্বরের এক তারিখ পর্যন্ত। আগে এই সময়সীমা ছিল সেপ্টেম্বরের এক তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু তাতেও দেখা গিয়েছে অনেকে করেনি আপডেট তাই পুনরায় সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
করোনা চলাকালীন সময় থেকে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। কিন্তু সকলের এই আওতায় থাকার কথা নয়। সরকার বর্তমানে রেশন কার্ডগুলি পুনরায় যাচাই করছে। বেআইনিভাবে রেশন নিলে আপনার জরিমানা থেকে জেল পর্যন্ত হতে পারে। কী কী ক্ষেত্রে হতে পারে জেল কিংবা জরিমানা? কোন কোন ক্ষেত্রে কার্ড রাখা যায় না?
প্রথমত, যদি গাড়ি বা ট্রাক্টরের মতো চার চাকার গাড়ির মালিক হন তবে রেশন কার্ড রাখা যায় না।
দ্বিতীয়ত, ঘরে রেফ্রিজারেটর বা এয়ারকন্ডিশনারগুলির মতো জিনিস থাকলে রেশন কার্ড রাখা যাবে না।
তৃতীয়ত, যদি গ্রামীণ এলাকায় বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকা বা শহুরে এলাকায় তিন লাখ টাকার বেশি হয় তবে রেশন পাবেন না।
চতুর্থত, পরিবারের কোনও একজন সদস্য সরকারি চাকরি করলে, পুরো পরিবারকে রেশন কার্ডের জন্য অযোগ্য বলে মনে করা হয়।
পঞ্চমত, যারা আয়কর দেন বা বিলাসবহুল জিনিস ব্যবহার করেন তারা রেশনের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন।
ষষ্ঠত, লজিস্টিক ডিপার্টমেন্টের নিয়ম অনুসারে, যদি ১০০ বর্গ গজের বেশি সম্পত্তির (বাড়ি বা জমি) মালিক হন তবে রেশন কার্ড থাকা উচিত নয়।
উপরের এই ছয়টি কারণের মধ্যে একটি হলেও রেশন কার্ড রাখা অনুচিত। সেক্ষেত্রে রেশন কার্ড জেলা লজিস্টিক বিভাগে ফেরত দেওয়া উচিত। নইলে হতে পারে জরিমানা থেকে জেল।
