আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ এল নিনো এবং লা নিনা প্রতি বছর গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করে। তার উপর বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা লা নিনা নিয়ে বড় আশঙ্কার কথা শোনাল। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দাবি, আগামী তিন মাসে লা নিনা কার্যকর হতে পারে। আর তার জেরেই বদলে যেতে পারে আবহাওয়া। যদিও আবহাওয়াবিদদের একাংশের মতে এই বছর লা নিনার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ। তবে আবহাওয়াবিদের ধারণা এই বছর যদি লা নিনা কার্যকর হয় তবে এটি তুলনামূলকভাবে দুর্বল হবে এবং শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্যই এর প্রভাব দেখা যাবে। কিন্তু তাতেই হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। 


প্রসঙ্গত, লা নিনা সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ঠান্ডা করে। যার ফলে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ে এবং প্রচণ্ড গরমের সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু লা নিনা দুর্বল হয়ে যাওয়ায় হতে পারে উল্টো ফল। ফলে আশঙ্কা এ বছর ঠান্ডা কম পড়বে এবং গরম যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। এটা ঘটনা লা নিনা বলতে বোঝায় মধ্য ও পূর্ব নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার বড় মাত্রায় শীতলতা। তার সঙ্গে বাতাস, চাপ ও বৃষ্টিতেও পরিবর্তন দেখা যাবে। এল নিনো আবার এর ঠিক এর উল্টো। এর ফলে সমুদ্র উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।


ভারতে এল নিনোর প্রভাবের ফলে তাপ বেশি এবং বৃষ্টিপাত কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর লা নিনা ভারী বৃষ্টির ইঙ্গিত দেয়। আবার শীতে ঠান্ডা বাড়ে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব সেলেস্তে সাওলো বলেছেন যে ২০২৪ সাল এল নিনো দিয়ে শুরু হয়েছিল এবং এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণ বছর হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‌মে মাস থেকে এল নিনো বা লা নিনা না থাকা সত্ত্বেও অস্বাভাবিক আবহাওয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টি ও বন্যার মুখে পড়তে হয়েছে মানুষকে।’‌ 


আসল কথা হল লা নিনা দুর্বল হলে ভারতে তাপ বেশি হবে এবং বৃষ্টিপাত কম হবে। ভারতের দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সাধারণত ‘‌লা নিনার’‌ কারণে ভারী বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে থাকে। ফলে চিন্তায় আবহাওয়াবিদরা।