আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিবেশবিদরা যেমনটা পরিস্থিতি তৈরির সতর্কবার্তা দিয়েছিল বাস্তবেও দেখা গেল তেমনটাই হল। জানুয়ারি মাস শেষ হয়ে ফেব্রুয়ারি চলে এল কিন্তু শীত উধাও হয়ে গেল সর্বত্র। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার যে বার্তা হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সেটা যেমন ঠিক তেমনি লা নিনা যে এবার নিজের কাজটি সঠিকভাবে করতে পারল না সেটাও চরম সত্য।

 


যেভাবে শীতের পরশ তৈরি হওয়ার কথা ছিল এবারে সেটা হল না। বদলে তৈরি হল বিপরীতমুখী বায়ু। ফলে সকাল বেলা দরজা খুললেই দেখা যাচ্ছে পূর্বদিক থেকে বইছে হাওয়া। আর উত্তর দিকের হাওয়া ছাড়া শীতের দেখা মিলবে না বলে সকলেই জানেন। লা নিনা যেভাবে শীতকে দীর্ঘস্থায়ী করার করার বার্তা দিয়েছিল সেটা সে রাখতে পারল না। যদিও তার আগে নিজের কাজ সঠিকভাবেই করেছে এল নিনা। 


তবে লা নিনার সঠিক প্রভাব বিস্তার না হওয়ার ফলে এবার অনেক বেশি ঝড়বৃষ্টির প্রভাব পড়বে। ফলে কালবৈশাখীর সময় আসার আগেই বেশ কয়েকটি বড় ঝড়বৃষ্টি দেখতে পারে সকলে। শুধু ভারতবর্ষ নয়, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের উপরও লা নিনার এই প্রভাব থাকবে। 

 


অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে লা নিনা। আবহবিদরা মনে করছেন প্রশান্ত মহাসাগরের জল আরও বেশি গরম হতে শুরু করবে। ফলে অস্ট্রেলিয়াতে গরমের পরিমান বাড়বে। পাশাপাশি বর্ষার সময় যে পরিমান বৃষ্টি হবে তাকেও অন্যবারের থেকে আলাদা বলেই মনে করা হবে। যেসব দেশ কৃষির উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল তারা এরফলে জলের সমস্যায় পড়তে পারেন। যেহেতু এল নিনা এবং লা নিনার সময় একে অপরের পর তাই এরা দুজনেই কয়েক মাসের মধ্যে নিজেদের কাজ করবে।


২০২৫ সাল লা নিনা যে নতুনভাবে সকলের সামনে আসতে পারে সেদিকে সকলেই একমত। এবারের গরমে অন্যবারের তুলনায় গরম বেশি থাকবে। সূর্যের তাপ অনেক বেশি ভোগাবে সকলকে। ফলে সমুদ্র থেকে ঝুর্ণিঝড় অনেক বেশি তৈরি হবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বিশ্ব উষ্ণায়নের উপর।