আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানবিকতা দেখানোই কাল হল। কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাকে জল খাওয়ানোর অপরাধে চাকরি খোয়ালেন গাড়ির চালক সত্যনারায়ণ গুর্জ।
প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত চিতার দলকে গাড়ি থেকে দেখেছিলেন সত্যনারায়ণ। মনে হয়েছিল যে, মা চিতা তাঁর শাবকদের নিয়ে গরমে কাহিল। এরপরই গাড়ি থেকে নেমে একটি পাত্রে জল ঢেলে চিতাদের উদ্দেশে এগিয়ে দেন তিনি। মধ্য প্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের এই ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সত্যনারায়ণ গুর্জের কীর্তি বহু মানুষের প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়।
কিন্তু চালকের ওই কাজ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই চালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বন দফতরের তরফে।
সত্যনারায়ণ গুর্জর নামক ওই ব্যক্তি চিতা ট্রাকিং টিমের গাড়ি চালক ছিলেন। সম্প্রতিই তিনি পর্যটকদের নিয়ে যখন জঙ্গলে যাচ্ছিলেন, তখন চিতা ও চার শাবককে দেখতে পান। সত্যনারায়ণ গাড়ি থেকে নেমে একটি পাত্রে চিতাদের জল খেতে দেন। সত্যনারায়ণের এই কর্মকাণ্ড রেকর্ড করেন একজন ফরেস্ট রেঞ্জ গার্ড।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সত্যনারায়ণ প্রশংসা কুড়ালেও ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসাররা এটিকে জাতীয় উদ্যানের নিয়ম বিরুদ্ধ বলে মনে করেছেন। এরপরই চালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ওই চালক অস্থায়ী কর্মী ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হয়েছে বন দফতরের তরফে। জঙ্গলের কোর এলাকা থেকে বেরিয়ে এসেছে জ্বলা নামক ওই চিতা ও তার শাবকরা। তাদের লোকালয়ে দেখলে যেন কোনও খাবার না দেওয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে ওই চিতাগুলিকে আনা হয়েছে। ১০টিরও বেশি চিতা পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে মারা যায়। জ্বালা নামক এই মহিলা চিতা চারটি শাবক প্রসব করে।
