আজকাল ওয়েবডেস্ক: পারিবারিক বিবাদের জেরে ৩৮ বছর বয়সী এক মহিলাকে ডেকে পাঠিয়ে মসজিদের বাইরে লাঠি-পেটা করার অভিযোগ উঠেছে। সেই মারধরের ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। শেষে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি কর্নাটকের দাভানগেরেতে।

নির্যাতিতা শাবিনা পরিচারিকার কাজ করে। তাঁর অভিযোগ, গত ৭ এপ্রিল তাঁ সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন আত্মীয় নাসরিন। সেদিন শাবিনা ও নাসরিন  কতাঁদের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বুককাম্বুদির একটি পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তবে সন্ধ্যা গড়াতেই ফিরে এসেছিলেন। এরপর চিকিৎসার পরামর্শ অনুযায়ী, শাবিনা তাঁর ওষুধ খেয়ে বিশ্রামের জন্য শুয়ে পড়েন। নাসরিন প্রথমে বলেছিলেন যে, তিনি রাতেই বাড়ি চলে যাবেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত শাবিনার বাড়িতেই থেকে যান। এই সময়, ফায়াজ নামে এক ব্যক্তিও নাসরিনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।

এরপরই শাবিনার স্বামী জামিল আহমেদ বাড়ি ফিরে নাসরিন এবং ফায়াজ উভয়কেই বাড়িতে দেখতে পান। যা নিয়ে রাতেই আপত্তি তোলেন তিনি। শেষে অসন্তুষ্ট হয়ে জামিল স্থানীয় মসজিদে গিয়ে অভিযোগ জানান।

এরপরই জেলার চান্নাগিরি তালুকের তাভারেকেরে গ্রামের স্থানীয় মসজিদের পক্ষ থেকে শাবিনা, নাসরিন এবং ফায়াজকে সেখানে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই শানিবানর উপর অত্য়াচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে লাঠিপেটা করে কয়েকজন। মারা হয় পাইপ দিয়েও। এমনকি পাথরও ছোড়া হয়। এতেই জখম হন তিনি।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">April 15, 2025

অত্যাচারের প্রতিবাদে গত ১১ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শাবিনা। সেই ভিত্তিতে মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন- মহম্মদ নিয়াজ, মহম্মদ গাউসপীর, চাঁদ বাশা, ইনায়েত উল্লাহ, দস্তগীর এবং রসুল। পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করেছে। এখনও তদন্ত জারি রয়েছে।