আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল ২৬ বছরের এক তরুণীর হাড়গোড়। যদিও তাঁর মাথার খুলি পায়নি পুলিশ। নিখোঁজের প্রায় ছ'মাস পর এভাবেই তরুণীর সন্ধান পেল পুলিশ। গ্রেপ্তার তরুণীর প্রেমিক।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের গদাগ জেলায়। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ বছরের মধুশ্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর প্রেমিক ২৮ বছরের সতীশকে। ছ'মাস আগে খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল। মধুশ্রীকে খুন করে, তাঁর দেহ মাটির তলায় লুকিয়ে রেখেছিলেন সতীশ। ছ'মাস পর তরুণীর হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘ ছ'বছর মধুশ্রী ও সতীশ প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু বাড়ি থেকে তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই মধুশ্রীকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মধুশ্রী। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। একমাস পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন রাতে মধুশ্রীকে সতীশ নারায়ণপুরার একটি ফার্মহাউসের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন রাতেই বিয়ের জন্য জোরাজুরি করেছিলেন তরুণী। যা নিয়ে দু'জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। অবশেষে মধুশ্রীর গলা টিপে খুন করে, দেহ পুঁতে পালিয়ে যান সতীশ। একমাস পর স্বাভাবিকভাবেই কাজে যোগ দেন তিনি। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হয় সতীশের কথাবার্তায়।
ফোনের লোকেশন খতিয়ে দেখে পুলিশ। পাশাপাশি সতীশের কথার অসংগতি ধরা পড়ে। দীর্ঘ জেরার পর অবশেষে খুনের ঘটনাটি তিনি স্বীকার করে নেন। এমনকী দেহটি কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলেন তাও জানিয়ে দেন।
