আজকাল ওয়েবডেস্ক: পর্যাপ্ত নম্বর পেয়ে পাশ করতে পারেননি। কিন্তু হঠাৎ করে নম্বর বেড়ে গেল। পাশ করে গেলেন। কী ভাবে? ইউনিভার্সিটির পোর্টাল হ্যাক করে। শুনে তাজ্জব হলেও এটাই ঘটেছে কর্নাটকে।
কর্ণাটক পুলিশ সম্প্রতি একটি গ্যাংকে ধরেছে যারা কোলারের বেঙ্গালুরু নর্থ ইউনিভার্সিটির ইউনিফাইড ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইউসিএমএস) পোর্টাল হ্যাক করে ছাত্রদের নম্বর বাড়িয়েছে। একজন, দু'জন নয় ৬০ জনেরও বেশি স্নাতক ছাত্রের নম্বর বেড়েছে এইভাবে।
পুলিশ জানিয়েছে, কোলার জেলার সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড নারকোটিক্স কন্ট্রোল পুলিশ স্টেশন (সিইএন), বেঙ্গালুরু নর্থ ইউনিভার্সিটি (বিএনইউ) ইউইউসিএমএস ওয়েবসাইটের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারকদের একটি চক্র এই কাজ করেছে। যাদের নম্বর বাড়ানো হয়েছে তাদের থেকে এই কাজ করার জন্য অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহও করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গিরিশ, সন্দেশ এবং সূর্য নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়েছে। অভিযুক্তেরাও ছাত্র বলে সূত্রে খবর। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার থিপ্পেস্বামীর লগইন শংসাপত্রের ব্যবহার করে পোর্টাল হ্যাক করেছে। এরপর বাড়িয়েছে নম্বর। যে ৬০ জন ছাত্রের নম্বর বাড়িয়েছে তাদের প্রত্যেকের থেকে মাথাপিছু ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।
কিছুদিন ধরেই চলছিল এইভাবে নম্বর বাড়ানো। এই হ্যাকিংয়ের বিষয়টি নজরে আসে যখন বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলার বিজয়পুরায় এক ছাত্রের কাছে নম্বর বাড়ানোর জন্য টাকা চাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করে অভিযুক্তেরা। তারা টাকা তোলার সময় অনলাইন অ্যাপ ব্যবহার করত।
বেঙ্গালুরুর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড বদলে দেওয়া হয়েছে। কর্ণাটকের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী এমসি সুধাকর জানিয়েছেন, সরকার পোর্টাল হ্যাকিংয়ের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। পুরো বিষয়টি কী করে ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পোর্টালের সুরক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
