আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। ১০ বছর পর সেখানের বাসিন্দারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। সকালের প্রথম পর্যায়ে গণনার শুরুতে দেখা যাচ্ছে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এখানকার মোট আসন ৯০ টি। জিততে হলে পেতে হবে ৪৬ টি আসন। 

 

 

কিন্তু এই নির্বাচনে সরকার গঠন করতে বড় ভূমিকা রাখতে চলেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। কীভাবে? জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ অনুসারে যখন এই অঞ্চলটি পুনর্গঠিত হয়েছিল, তখন আইনটিতে একটি বিষয় যোগ করা হয়, সেটি হল জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটন্যান্ট গভর্নর বা এলজি বিধানসভায় দু'জন সদস্যকে মনোনীত করতে পারেন তবে তাদের মহিলা হতে হবে। তিনি এটা তখনই করতে পারবেন যখন মনে হবে বিধানসভায় মহিলা প্রতিনিধি পর্যাপ্ত নেই। 

 

 

২০২৩ সালে এই আইন আরেকবার সংশোধন করে আরও তিন সদস্যকে বিধানসভায় অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে দেওয়া হয়। তিনজনের মধ্যে একজনকে মহিলা হতে হবে এবং একজনকে পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু- কাশ্মীর থেকে যারা এসেছে তাদের মধ্যে থেকে নির্বাচন করতে হবে। এর ফলে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে ক্ষমতা রয়েছে ৫ সদস্যকে বিধানসভায় পাঠানোর। 

 

 

বিরোধীদের দাবি, এই পাঁচজনকে আনতে পারেন লেফটন্যান্ট গভর্নর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে। সেক্ষেত্রে বিধানসভায় মোট সদস্য দাঁড়াচ্ছে ৯৫ জন। আগে ছিল ভোটে জিততে হলে পেতে হবে ৪৬ টি আসন। এখন সেখানে পেতে হবে ৪৮ টি আসন। এটা গণতন্ত্র এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। এক্ষেত্রে বিজেপির আসন পেতে হবে মাত্র ৪৩। কারণ ওই পাঁচ জন বিজেপিকেই সমর্থন করবে বক্তব্য বিরোধীদের, অন্যদিকে তাদের পেতে হবে ৪৮ টি আসনই।