আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি জম্মুতে চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য৷  জম্মুর গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপরই চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। খবর সূত্রে, এক মৃত রোগীর পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছে। পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনেন। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছয়। হাসপাতালের পরিস্থিতি বেসামাল হতেই ঘটনাস্থলে স্বাস্থদপ্তরের কর্মীরা পৌঁছয়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মুর গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে এটি ঘটে। সেখানকার এক জুনিয়র ডাক্তারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। ঘটনার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকদের সঙ্গে তুমুল অশান্তি করছেন। ভিডিওটিতে কিছুক্ষণ পর দেখা যাচ্ছে এক যুবতী  হাসপাতালের আরেক মহিলা মেডিক্যাল স্টাফকে পেটে এলোপাথাড়ি লাথি মারছেন।

জানা গিয়েছে, ঘটনার প্রতিবাদে জম্মু গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা করেছেন। তাঁরা তাঁদের সহকর্মীর ওপর হামলার এই নৃশংস ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবি করেছেন। এমনকি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানান বিক্ষোভ করে। অপরদিকে জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও পরামর্শদাতাদের মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা যেন অব্যাহত থাকে তার কথা বলেছেন। 

বর্তমানে স্থানীয় পুলিশ ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ মেডিক্যাল কলেজের অন্যান্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও নেওয়া হচ্ছে। 

আরও পড়ুনঃ ওজন কমাতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি! ৫৫ বছর বয়সে অকালেই প্রাণ হারালেন প্রৌঢ়া, পরিবারের দাবি চিকিৎসা গাফিলতি ...

একই দিনে বিহারের পাটনায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুলিতে নিহত হন এক জেল ফেরত আসামি। নিহতের নাম চন্দন। তিনি বক্সার জেলার বাসিন্দা। খবর অনুযায়ী চন্দন একটি হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বেউর জেলে বন্দি ছিলেন দীর্ঘদিন। সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য মুক্তি পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন।

পাটনা (সেন্ট্রাল) পুলিশ সুপার দীক্ষা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে পুলিশ খবর পায় এক ব্যক্তি কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ ঘটনাটি হাসপাতালের ভেতর ঘটেছে।  হামলাকারীরা একদল অজ্ঞাত দুষ্কৃতী। খবর মারফত, এরা  হাসপাতালের ভেতরেই তাঁকে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বর্তমানে অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা জারি রয়েছে।

 প্রসঙ্গত এক প্রৌঢ়া ওজন কমানোর জন্য সার্জারি করার সময় মারা যান। খবর অনুযায়ী, ৫৫ বছর বয়সী এই প্রৌঢ়া মীরাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওজন কমানোর জন্য যান। এরপর ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি করানোর পর তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে পরিবারের সদস্যরা একইভাবে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনেন। খবর অনুযায়ী রাজনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিজ্ঞাপন দেখে সার্জারির জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সার্জারির সময় তাঁর ওজন ছিল ১২৩ কেজি। রাজনির অস্ত্রোপচার করেন ডঃ ঋষি সিংহল। তিনি একজন ব্যারিয়াট্রিক সার্জন। জানা গিয়েছে, রাজনির মেয়ে শিবানি গুপ্তাও (২৬) ওই হাসপাতালে একই সার্জারি করান। শিবানির সার্জারি সফল হলেও, মা কে বাঁচান সম্ভব হয়নি।