আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার বেঙ্গালুরুর কাছে নেলমঙ্গল-তুমকুরু হাইওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ছয় জনের প্রাণ গিয়েছে। একটি কন্টেনার বোঝাই ট্রাক ডিভাইডার পেরিয়ে অপর দিক থেকে আসা ভলভো এসইউভি (ভলভো এক্সসি৯০)-কে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় ছয় জনের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন চন্দ্রাম ইয়েগাপাগোল (৪৮), তাঁর স্ত্রী গৌরাবাই (৪২), ছেলে গ্যায়ান (১৬), মেয়ে দীক্ষা (১২), ভাশুর-বউ বিজয়লক্ষ্মী (৩৬) এবং আর্যা (৬)। চন্দ্রাম বেঙ্গালুরুর সফটওয়্যারংস্থা আইএএসটি সফটওয়্যার সলিউশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি মাত্র দুই মাস আগে এই বিলাসবহুল ভলভো এক্সসি৯০ গাড়িটি কিনেছিলেন।

এই গাড়িতে চড়ে ইয়েগাপাগোল পরিবার মহারাষ্ট্রের সাংলিতে চন্দ্রামের বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িটি সঠিক গতিতেই চলছিল ও চালক কোনও ভুল করেননি। সেই থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? দামি গাড়ি হলেও তা কি আদৌ নিরাপদ? 

কন্টেইনার ট্রাকের চালক আরিফ জানিয়েছেন, হঠাৎ সামনে থাকা একটি গাড়ি ব্রেক কষলে তিনি ট্রাক থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারী গাড়ি হওয়ায় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ডানদিকে ঘুরে ডিভাইডার পার করেন। এরপর ট্রাকটি একটি দুধের ট্রাককে ধাক্কা মেরে ভলভো গাড়ির ওপর পড়ে। ট্রাকটিতে অ্যালুমিনিয়াম বোঝাই ছিল। ভারী অ্যালুমিনিয়াম ভসবোর গাড়ির ওপর পড়ার পরেই তা চেপ্টে যায়।

ট্রাকটি সরাতে ছয়টি ক্রেন ব্যবহার করতে হয়েছে। তারপর একে একে গাড়ির ভেতর থেকে মৃতদেহগুলি বের করা হয়। এই দুর্ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা। অনেকেই বলেছেন, 'সেফটি কার' থাকলেও রাস্তায় যদি সবাই সঠিক না চলে, তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়। টুইটার পেজ ড্রাইভস্মার্ট লিখেছে, 'সেফটি রেটিং পাওয়া গাড়ি একা জীবনের সুরক্ষা দিতে পারে না। ঠিকঠাক রাস্তা, সুরক্ষিত চালক এবং সুরক্ষিত গাড়ি এই তিনটি বিষয়ই জরুরি।' ভাল রাস্তা এবং ট্রাফিক আইন কঠোর করার জন্য অনেকেই কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রীকে ট্যাগ করেছেন।

 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">December 21, 2024