আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লালকেল্লার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। মোদির এই হুঙ্কার নিয়েই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার শাসক দলের দাবি, স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চকে হাতিয়ার করে "নতুন শত্রু" চিহ্নিত করলেন প্রধানমন্ত্রী।
কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী?
লালকেল্লার ভাষণে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "আমি দেশকে একটি উদ্বেগ, একটি চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করতে চাই। একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, দেশের জন বিন্যাসের পরিবর্তন করা হচ্ছে। একটি নতুন সংকটের বীজ বপন করা হচ্ছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা আমার দেশের যুবকদের জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে। তারা আমাদের বোন ও কন্যাদের লক্ষ্যবস্তু করছে। তারা আদিবাসীদের বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের জমি দখল করছে। এই সব সহ্য করা হবে না।"
নরেন্দ্র মোদির দাবি, সীমান্ত অঞ্চলে এই জনসংখ্যাগত পরিবর্তন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি, যা ভবিষ্যতে সংঘর্ষের বীজ বপন করছে। তাই 'উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডেমোগ্রাফি মিশন' চালুর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তৃণমূলের অভিযোগ:
এই ভাষণের পর পরই সোচ্চার হয় তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ ভিডিও বার্তায় বলেন, "যাথারীতি তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ ব্যবহার করে নতুন 'শত্রু" কে লক্ষ্যবস্তু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের পরে এখন 'অনুপ্রবেশকারীরা' নতুন লক্ষ্য। অতীতের সরকারগুলিকে নিশানা করে আবার নতুন 'মিশন' ঘোষণা করা হয়েছে। মোদি কোন ১৫ অগাস্ট কি এমন ভাষণ দেবেন, যেখানে সত্যি সত্যিই তাঁর ১১ বছরের মেয়াদকালের প্রতিশ্রুতিপূর্ণ এবং অসম্পূর্ণ সাফল্যের রেকর্ডকে তুলে ধরবেন?"
As usual @narendramodi uses his #IndependenceDay speech to target a new “enemy.” After Andolanjeevis etc now “infiltrators” is the new target. Again new “missions” announced while targeting past governments. When will Modi give a #15August address truthfully addressing his own…
— Sagarika Ghose (@sagarikaghose)Tweet by @sagarikaghose
উল্লেখ্য, ভারতে বেআইনি অভিবাসনের সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে, যা উদ্বেগের। সন্দেহভাজন শ্রমিকদের পরিচয় যাচাইকরণ শুরু হয়েছে, বিশেষত বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী এ দিনের হুঁশিয়ারি বেশ ইঙ্গিতবহ। তবে তৃণমূল কংগ্রেস আগে থেকেই বাঙালি অস্মিতার কথা বলে পরিযায়ী শ্রমিক যাচাইকরণের বিরুদ্ধে মুখর। জোড়া-ফুলের অভিযোগ, বাংলা ভাষাভাষী ভারতীয়দেরও বেআইনি বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হয়রানি চলছে, যা বাঙালিদের অপমান।
