আজকাল ওয়েবডেস্ক: যুগ এগোচ্ছে নাকি পিছোচ্ছে তা বোঝা দায়। মধ্যপ্রদেশের একটি ঘটনা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে লজ্জা দেবে। ইন্দোরের এক আদালতে এক মহিলা অভিযোগ করেন যে, বিয়ের পরই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর নির্যাতন করে কুমারীত্ব পরীক্ষার চেষ্টা করেছিল। অনুপযুক্তভাবে কুমারীত্ব পরীক্ষার ফলে ওই বিবাহিত মহিলা তীব্র মানসিক ও শারীরিক আঘাত পান। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝেছে আদালত।

অভিযোগকারিণীর স্বামী-সহ শ্বশুবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মামলা দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

মধ্যপ্রদেসে এটিই প্রথম মামলা যেখানে কুমারীত্ব পরীক্ষার প্রথাকে আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ভোপালের এক পুরুষের সঙ্গে নির্য়াতিতার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর, গর্ভাবস্থার তিন মাসের মধ্যেই তাঁর গর্ভপাত ঘটে। পরে, নয় মাস নয় দিন ধরে গর্ভধারণের পর, তিনি একটি মৃত শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন। বর্তমানে, তার একটি কন্যা রয়েছে।

নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের একজন তদন্তকারী আধিকারিকের গোপন প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে যে, বিয়ের প্রথম রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নির্যাতিতার কুমারীত্ব পরীক্ষা করার জন্য অনুপযুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল। ফলে তিনি মানসিক ও শারীরিক হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।