আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার মুম্বই-কলকাতা ইন্ডিগো ফ্লাইটে একজন সহযাত্রীকে চড় মারার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিমান সংস্থা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই ঘটনার পরদিনই ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে অভিযুক্ত যাত্রীর বিমানে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়। 

সংস্থার তরফ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "বিমানে এই ধরনের অবাধ্য আচরণ আমরা সমর্থন করি না। নিয়ন্ত্রক বিধি অনুযায়ী, ওই ব্যক্তিকে ইন্ডিগোর যে কোনও বিমানে ভ্রমণ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।"

বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে যে তারা তাদের ক্রু এবং যাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয় এবং "সকল যাত্রীর জন্য একটি নিরাপদ, সম্মানজনক এবং আরামদায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ"।

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 2, 2025

বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে শিলচরগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইট ৬ই-২৩৮৭-এ (যার মধ্যে কলকাতা ট্রানজিট) উঠেছিলেন হুসেইন আহমেদ মজুমদার (৩২)। বিমানে হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হয়। এমন অবস্থায় দুই কেবিন ক্রু তাঁকে বিমানের দরজার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই পাশে বসা এক সহযাত্রী হঠাৎ তাঁকে চড় মেরে বসেন। ঘটনার ভিডিও অন্য এক যাত্রী মোবাইলে তুলে নেন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। 

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, কেবিন ক্রুরা গায়ে হাত দিতে বারবার বারণ করলেও অভিযুক্ত যাত্রী তা অগ্রাহ্য করেন। বিমানের কলকাতা অবতরণের পর সিআইএসএফ ওই অভিযুক্তকে আটক করে। ইন্ডিগো সূত্রে জানানো হয়েছে, বিমানে সহযাত্রীর চড় মারার ঘটনায় অভিযুক্ত যাত্রী হাফিজুল রহমানকে কলকাতায় অবতরণের পর আটক করে সিআইএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে এ কী করে বসলেন রাহুল গান্ধী! মৃত নেতাকে নিয়ে টানাটানি শুরু করলেন

কিন্তু এই ঘটনার হুসেইনের আর কোনও খোঁজ নেই বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। হুসেইনের বাবা আবদুল মান্নান মজুমদার জানান, শুক্রবার সকালে পরিবারের সদস্যরা শিলচর বিমানবন্দরে তাঁকে নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আসেননি। পরে ভাইরাল ভিডিও দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন, ভিডিওতে যে যুবককে চড় মারা হচ্ছে, সে-ই তাঁদের ছেলে। এরপর ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও হুসেইনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবার জানিয়েছে, ইন্ডিগো বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারেনি। তারা বিমানবন্দরে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী কর্মকর্তাদেরও অবহিত করেছেন। হোটেলকর্মী হিসেবে মুম্বইতে কাজ করেন হুসেইন। এই রুটে এর আগেও বহুবার তিনি যাতায়াত করেছেন বলে জানান তাঁর পরিবার। স্থানীয় উধারবন্দ থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।

তবে বিমান সংস্থা নিখোঁজ যাত্রীর বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। হুসেইনের খোঁজে কাছাড় জেলার উদারবন্দ থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে থাকা সিআইএসএফ-কে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পরিবার।