আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা, নাগাড়ে ফ্লাইট বাতিল, তীব্র যাত্রী অসন্তোষ। এসবের মধ্যেই ক্ষমা চাইল বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সংস্থা জানিয়েছে, "সবকিছুর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।" সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিল হওয়া সব বিমানের রিফান্ড করা হবে পেমেন্ট মোডে।
এক্স-পোস্টে, বিমান সংস্থা ইন্ডিগো জানিয়েছে যে, তারা এই সময়ের মধ্যে বাতিল বা পুনঃনির্ধারণের উপর সম্পূর্ণ ছাড় দিয়েছে এবং যাত্রীদের অসুবিধা কমাতে, বিমানবন্দরগুলিতে খাবার এবং জলখাবারের পাশাপাশি হাজার হাজার হোটেল ঘর এবং স্থল পরিবহন বিকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, যেখানে সম্ভব বয়স্ক নাগরিকদের জন্য লাউঞ্জ অ্যাক্সেস দেওয়া হচ্ছে। ইন্ডিগো ভ্রমণকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে, বলেছে যে- বিমানের অপ্রতুলতার জেরে দেশের সমস্ত প্রধান বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার জন্য তারা গভীরভাবে দুঃখিত।
শুক্রবার সর্বাধিক সংখ্যক বিমান বাতিল রেকর্ড করা হয়েছে, ৭৫০ টিরও বেশি উড়ান প্রভাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিমান বাতিলের সংখ্যা ছিল ৫৫০। বুধবার যা ছিল ৮৫টি।
দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদ আজ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর, যার ফলে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিমান সংস্থাটি জাতীয় রাজধানীতে ২৩৫টি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
দেশের বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগো। সাধারণত প্রতিদিন প্রায় ২,৩০০টি ফ্লাইট চলাচল করে এই সংস্থাটি। শীতকালীন সময়সূচীর চাপের কারণে পাইলট সংকটের কারণে এই ইন্ডিগো-তে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে।
বিমান সংস্থাটি নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন (FDTL) নিয়মাবলী আংশিক শিথিল করার অনুরোধ জানিয়েছে, উল্লেখ করে যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইন্ডিগোর কর্মক্ষমতা হ্রাসের ফলে বিমান সংস্থাটির সময়ানুবর্তিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপক অন-টাইম পারফরম্যান্স (OTP) তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, বিমান সংস্থার ওটিপি মঙ্গলবার ৩৫ শতাংশ থেকে কমে বুধবার ১৯.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং বৃহস্পতিবার আরও কমে মাত্র ৮.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিমান পরিবহন সংস্থাটি বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা, অসামরিক বিমান পরিবরণ সংস্থা জানিয়েছে যে- ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও বেশি বিমান বাতিল করা হবে এবং সেই দিন থেকে পরিষেবাও হ্রাস পাবে।
