বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: বাজেট নিয়ে আলোচনার কাজ শেষ করে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আগামী ২৩ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন তিনি। তার আগে চলছে নানান আলোচনা, চর্চা। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে। তবে তার পাশাপাশি এবার রেলের সুরক্ষা, ফ্রেট করিডরেও বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষ করে বালেশ্বর দুর্ঘটনার পর রেলের সুরক্ষা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে।

কবচ পদ্ধতি, রেলের আধুনিকিকরণ এবারের বাজেটে মূল বিষয় হওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ফেব্রুয়ারিতে পেশ করা ভোট অন অ্যাকাউন্টে রেলের পরিকাঠামোর জন্য ২.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের সংশোধিত বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা। অন্তবর্তীকালীন বাজেটে শক্তি, সিমেন্ট খনিজ এবং বন্দরের জন্য নির্দিষ্ট করিডরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট করিডরের নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার বাড়বে। একইসঙ্গে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচলেও অনেক সুবিধা হবে বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী। এবার রেলে প্রযুক্তি এবং সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে দেশের শিল্প বাণিজ্য মহল। নির্দিষ্ট জোন অনুযায়ী কবচ প্রক্রিয়া চালু করা, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণ, যাত্রীদের পরিষেবা বৃদ্ধি করার দাবি জানানো হয়েছে। রেলের ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন এবং সঠিক পদে বরাদ্দ ও বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে দাবি করা হয়েছে। প্রাক বাজেট বৈঠকে অর্থ সচিব টিভি সোমনাথন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ উপস্থিত ছিলেন। ফিকির তরফে বলা বয়েছে কিছু ক্ষেত্রের জন্য নির্দিষ্ট বগি প্রয়োজন। এছাড়া তাদের দাবি, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ফ্রেট করিডর চালু করতে হবে।