আজকাল ওয়েবডেস্ক : হিমালয় অঞ্চলের হিমবাহ হ্রদ ও জলাশয়গুলোর আকার ক্রমশ বাড়ছে, যা ভারতের জন্য বিপদের ঘণ্টা । সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জল কমিশন একটি প্রতিবেদন জানিয়েছে, ২০১১ সালের পর থেকে এই হ্রদ ও জলাশয়গুলোর আকার ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহের দ্রুত গলছে এবং হ্রদগুলোর আকার বৃদ্ধির ফলে গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড ঝুঁকি বেড়েছে। এই পরিস্থিতি শুধু ভারতেই নয়, পার্শ্ববর্তী চিনে আরও হচ্ছে । চিনের বৃহৎ হ্রদগুলো ভারতের তুলনায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে। চিনে ৫০ হেক্টরের বেশি আকারের দুটি বড় হ্রদ এবং ১৪টি জলাশয় ৪০ শতাংশেরও বেশি প্রসারিত হয়েছে। এই ধরনের বিস্তারের ফলে বিপর্যয়কর বন্যার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যা জীবিকা ও সেখানকার বাড়িগুলির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

 

২০০৯ সাল থেকে হিমবাহ হ্রদ পর্যবেক্ষণ শুরু হয় । ২০১১ সালের একটি তালিকায় ১০ হেক্টরের বেশি আকারের ২,০২৮টি হ্রদ ও জলাশয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর থেকে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন রিমোট সেন্সিং, স্যাটেলাইট ইমেজিং এবং গুগল আর্থ ইঞ্জিনের মতো ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ৯০২টি গুরুত্বপূর্ণ জলাশয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

 

সেপ্টেম্বর ২০২৪-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত এক দশকে ৫৪৪টি হিমবাহ হ্রদ ও ৩৫৮টি জলাশয়ের আয়তন ১০.৮১ শতাংশ বেড়েছে। যদিও চিনে এই বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি, ভারতের ৬৭টি হ্রদেও উল্লেখযোগ্য আকার বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

 সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, জি এলওএফ এর ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে। ১৮৩৩ সাল থেকে নথিভুক্ত ৭০০টি ঘটনার মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি ঘটেছে গত ৫০ বছরে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহের স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রমাণ। এই ধরনের ঘটনার কারণে ১৮৩৩ সাল থেকে হিন্দুকুশ হিমালয় অঞ্চলে ৭,০০০ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।