আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় পর্যালোচনা (SIR) প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আজ পাটনার রাস্তায় নেমে এল মহাগঠবন্ধন। কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে 'ভোটবন্দির' বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল গড়ে ওঠে। মিছিলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, সিপিআই(এম-এল) লিবারেশন-এর দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সিপিআই-র ডি. রাজা ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতারা।

ইনকাম ট্যাক্স গোলাম্বার থেকে নির্বাচন কমিশনের অফিস পর্যন্ত মিছিল হয় “ভোটবন্দি কে খিলাফ, বিহার কা দরবার” স্লোগান তুলে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রেল ও সড়কপথ অবরোধ করে আগুন ধরিয়ে বিহার বনধ পালন করেন সমর্থকেরা। রাহুল গান্ধী সংবিধানের ছোট্ট লাল বই উঁচিয়ে বলেন, “সংবিধানে প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার স্বীকৃত। মহারাষ্ট্রের মতো বিহারেও ভোট চুরি করার চক্রান্ত চলছে।” তিনি অভিযোগ করেন, “নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপির হয়ে কাজ করছে।”

তেজস্বী যাদব বলেন, “আরএসএস-বিজেপি-নিতীশ সরকারের জুলুম চলবে না। বিহার, গণতন্ত্রের জন্মভূমি, গণতন্ত্রকে শেষ হতে দেবে না।” পাপ্পু যাদব বলেন, “আজ পর্যন্ত আমরা ভোট দিলাম কীভাবে? এখন কেন নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইছে? গরিব মানুষের জীবন শেষ করে দিয়েছে কমিশন।” অন্যদিকে, বিজেপির শাহনওয়াজ হুসেন পালটা বলেন, “INDIA জোটের কোনো আসল ইস্যু নেই। গুণ্ডামির মাধ্যমে মানুষকে হয়রান করছে।” উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বলেন, “ওরা বেড়াতে এসেছে, বিহারের উন্নয়নের সঙ্গে ওদের কিছুই যায় আসে না।”

নির্বাচন কমিশনের মতে, ভোটার তালিকা থেকে ‘অবৈধ অভিবাসী’ ও অস্থায়ী বাসিন্দাদের বাদ দিতেই এই SIR। তবে আধার, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড ছাড়াও জমির কাগজ, জন্মের প্রমাণ, শিক্ষাগত নথি চাওয়ার এই প্রক্রিয়া বিহারের দরিদ্র, ভূমিহীন ও শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের জন্য আরও বিপদ ডেকে আনবে বলেই আশঙ্কা।