আজকাল ওয়েবডেস্ক: তুমুল অশান্তি মাঝেই একে অপরের দিকে ছুরি নিয়ে তেড়ে গেলেন স্বামী- স্ত্রী। তুমুল দাম্পত্য কলহের জেরে ভয়াবহ পরিণতি ঘটল। ধারালো ছুরির আঘাতেই একসঙ্গে মৃত্যু হল তাঁদের। এক ঘর থেকেই দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দেওঘর জেলায় তুমুল দাম্পত্য কলহের জেরেই ভয়াবহ পরিণতি হয়েছে এক দম্পতির। মৃতেরা হলেন, রবি শর্মা (৩০) ও লাভলি শর্মা (২৪)। দেওঘর শহরেই বেলাবাগান এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, যে ঘর থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানেই রক্তমাখা ছুরি ছিল। যা থেকেই পুলিশের অনুমান, তুমুল অশান্তির মাঝে একে অপরের ওপর ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা করেন তাঁরা‌‌। স্বামী- স্ত্রীর শরীরেও একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ধারালো ছুরির আঘাতেই দম্পতির একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, লাভলি শর্মা দেওঘরের বাসিন্দা ছিলেন। রবি বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। বিয়ের পর দেওঘরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু, তা এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই তবেই মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ জানা যাবে। কিন্তু কী কারণে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল, তা ঘিরে ধোঁয়াশায় পুলিশ। 

প্রসঙ্গত, অক্টোবরে ঝাড়খণ্ডে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। চার মাস আগে বিয়ে। সুখের সংসারে আচমকা ঝড়। বিমার টাকার লোভে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন যুবকের। তবে বিষয়টি এমনভাবে সাজিয়েছিলেন, যা দেখে মনে হয়েছিল দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই যুবকের কুকীর্তি ফাঁস হয়েছে পুলিশের কাছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে হাজারিবাগ জেলায়। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ৩০ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিমার টাকা পাওয়ার জন্য স্ত্রীকে খুন করেন যুবক। কিন্তু ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশকে জানায়, দুর্ঘটনার জেরেই সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত মুকেশ কুমার মেহতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ২৩ বছরের তরুণীর নাম, সেবন্তী কুমারী। চার মাস আগেই তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মুকেশের। ৯ অক্টোবর সেবন্তীকে খুন করেন মুকেশ। হত্যাকাণ্ডের পর সকলে জানান, দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বিমার ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্যেই স্ত্রীকে খুন করেন মুকেশ। 

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ৯ অক্টোবর রাতে পথচলতি কয়েকজন মানুষ পুলিশে খবর দেন, ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে পদ্ম - ইটখোরি সড়কে এক দম্পতি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে আছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দম্পতিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। ততক্ষণে অচৈতন্য থাকার নাটক করেছিল মুকেশ। 

হাসপাতালে পৌঁছনোর পরে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে আহত অবস্থায় মুকেশ হাসপাতালে ভর্তি হন। যে আঘাতগুলি নিজেকেই করেছিলেন তিনি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, দুর্ঘটনা নয়, তরুণীকে খুন করা হয়েছিল। মুকেশকে দীর্ঘ জেরার পর আসল ঘটনা ফাঁস হয়। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক।