আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে হলেই আমাদের প্রথম চিন্তা থাকে ট্রেনের টিকিট কাটা। সেই সঙ্গে আরও একটি চিন্তা থাকে নীচের বার্থ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে কী না। অনেকে টিকিট কাটার সময় নীচের বার্থ পছন্দ করে দিলেও, টিকিট কনফার্ম হওয়ার সময় নীচের বার্থ নাও পেতে পারেন। তাহলে নীচের পান কারা? খোলসা করলেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
শুক্রবার রাজ্যসভায় একটি লিখিত জবাবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিক এবং মহিলা যাত্রীদের জন্য নীচের বার্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বরাদ্দ করা হয়। যদি নীচের বার্থ উপলব্ধ থাকে তাহলে, যাত্রীরা নীচের আসন টিকিট কাটার সময় সিলেক্ট না করলেও তাদের দেওয়া হয়।
বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রদত্ত সুযোগসুবিধা সম্পর্কে বলতে গিয়ে, বৈষ্ণব উল্লেখ করেছেন, স্লিপার ক্লাসে প্রতি কোচে মোট ৬-৭টি লোয়ার বার্থ, এয়ার-কন্ডিশনড ৩ টিয়ার (৩এসি) ক্লাসে প্রতি কোচে ৪-৫টি লোয়ার বার্থ এবং এয়ার-কন্ডিশনড ২ টিয়ার (২এসি) ক্লাসে প্রতি কোচে ৩-৪টি লোয়ার বার্থ (ট্রেনে সেই ক্লাসের কোচের সংখ্যার উপর নির্ভর করে) সংরক্ষণ করা হয়।
এছাড়াও, তিনি রাজধানী/শতাব্দী ধরণের ট্রেন সহ সমস্ত মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং তাদের পরিচারকদের জন্য আসন সংরক্ষণ সম্পর্কে জানান। রেলমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্লিপার এবং 3AC/3E ক্লাসে (দু’টি নিম্ন এবং দু’টি মধ্যম বার্থ সহ) চারটি করে বার্থ এবং সংরক্ষিত দ্বিতীয় সিটিং (2S)/শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার (CC) এর চারটি আসন প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মন্ত্রীর মতে, ট্রেনে যদি কোনও বার্থ খালি থাকে, তাহলে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা গর্ভবতী মহিলাদের বরাদ্দ করা হয়।
এই নতুন ডিজাইনের বিষয়ে বৈষ্ণব বলেন, ভারতীয় রেল বিভিন্ন ধরণের কোচ তৈরি করেছে যা আরও বেশি নিরাপত্তা প্রদান করবে। এর পাশাপাশি নানা সুবিধা এবং আরাম প্রদানের মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উন্নত করবে। সকল যাত্রীদের জন্য বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধা প্রবর্তন করে, তাদের ভ্রমণের সময় আরাম এবং সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, মন্ত্রী বলেন যে প্রায় সমস্ত মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি পৃথক বগি বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই কোচগুলিতে প্রশস্ত প্রবেশদ্বার, প্রশস্ত বার্থ, প্রশস্ত বগি, প্রশস্ত দরজা সহ বৃহত্তর শৌচাগার, হুইলচেয়ার পার্কিং এরিয়া ইত্যাদি রয়েছে। টয়লেটের ভিতরে, পাশের দেয়ালে অতিরিক্ত গ্র্যাব রেলিং রয়েছে যা সাপোর্টের জন্য এবং উপযুক্ত উচ্চতায় ওয়াশ বেসিন এবং আয়নাও পাওয়া যায়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দৃষ্টিহীন যাত্রীদের সুবিধার্থে ব্রেইল লিপি দ্বারা সজ্জিত সাইনেজও প্রদান করা হয়েছে। আধুনিক অমৃত ভারত এবং বন্দে ভারত ট্রেনগুলি শারীরিক ভাবে সক্ষমদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। বন্দে ভারত ট্রেনের প্রথম এবং শেষ কোচগুলিতে হুইলচেয়ার, প্রশস্ত স্থান সহ প্রতিবন্ধী-বান্ধব টয়লেটের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।”
