আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষের বেশি নাম। তার মধ্যে রয়েছেন সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নামও। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তেজস্বী যাদব। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন, "এখন আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কীভাবে?"

এ দিন তেজস্বী বলেছেন, "আমরা শুরু থেকেই ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংসোধন প্রক্রিয়া (SIR) নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলাম। শুরু থেকেই আমরা বলছিলাম যে, দরিদ্র ভোটারদের নাম মুছে ফেলা হবে। লক্ষ লক্ষ ভোটারের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। ভোটার তালিকা থেকে যাদের নাম মুছে ফেলা হয়েছে তাদের নাম কেন মুছে ফেলা হয়েছে সে সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন তথ্য দেবে। নির্বাচন কমিশন এটাই বলেছিল। ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল, কিন্তু এই তথ্য দেওয়া হয়নি। আমার নামও ভোটার তালিকায় নেই। আমি কীভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব?"

সাংবাদিক বৈঠকে মোবাইল দেখিয়ে তিনি বলেন, “ভোটার কার্ড নম্বর দিয়ে সার্চ করেও আমার কোনও তথ্য পেলাম না।” SIR-র সময় তিনি ফর্ম পূরণ করেছিলেন জানিয়ে তেজস্বী বলেন, "বুথ লেভেল অফিসার নিজে এসে আমার নথি নিয়ে যান।"

তেজস্বী সুলতানগঞ্জ বিধানসভার তালিকা দেখিয়ে বলেন যে, "এই তালিকায়- কী কারণে নাম মুছে ফেলা হয়েছে তা বলা হয়নি। প্রায় সাড়ে আট শতাংশ নাম মুছে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বুথের নাম, ভোটার বা EPIC নম্বর দেয়নি।" তেজস্বী যাদবের আরও প্রশ্ন যে, SIR-এর সময় সব জায়গায় গিয়ে যাচাই করা সম্ভব হয়েছিল কি? বিএলও কি তিনবার ভোটারদের কাছে গিয়েছিল? ভোটার তালিকা থেকে যাদের নাম মুছে ফেলা হয়েছে তাদের ৬৫ লক্ষ ভোটার বা তাদের কোনও আত্মীয়কে কি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল যে তাদের নাম মুছে ফেলা হবে? মনে হচ্ছে কমিশন নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। আপনারা গণতন্ত্র ধ্বংস করছেন। নির্বাচন কমিশন কেন মূল বিষয়গুলি গোপন করছে? কেন স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়নি?

এটা গণতন্ত্র নয়, একনায়কতন্ত্র - তেজস্বী যাদব
তেজস্বী যাদব নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করেন যে "কমিশনের উচিত রাজনৈতিক দলগুলিকে বুথভিত্তিক তালিকা দেওয়া। আপত্তি দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো উচিত, এর জন্য মাত্র সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। যে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত। কেন নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তা বুথভিত্তিক বলা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের উচিত বিষয়টি বিবেচনা করা। আমাদের দাবি হল- কোর্টের নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সম্পূর্ণ তথ্য চাওয়া উচিত। এটা গণতন্ত্র নয়, একনায়কতন্ত্র। আমরা জ্ঞানেশ গুপ্তাজিকে চ্যালেঞ্জ জানাই, যদি আপনি স্বচ্ছতা বজায় রেখে থাকেন, তাহলে আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিন।"

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 2, 2025

তবে তেজস্বী যাদবের চাঞ্চল্যকর দাবির পরপরই, অভিযোগ খণ্ডন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকার একটি অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, RAB045**** এপিক নম্বর ও ছবি, তেজস্বী যাদব পাটনার একটি ভেটেরিনারি কলেজের একটি বুর ভোটার।  

এরপর বিহারের বিরোধী দলনেতা পাল্টা নির্বাচন কমিশনের শেয়ার করা তাঁর এপিক নম্বরের চেয়ে আলাদা একটি এপিক নম্বর শেয়ার করেছেন।

আরও পড়ুন-  ইন্ডিগো বিমানে সহযাত্রীর কাছে চড় খেয়েছিলেন, তারপর থেকেই নিখোঁজ ছেলে! চাঞ্চল্যকর দাবি পরিবারের